ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারী থেকে মফিজুল সাদিক

ছাপাখানা-মাইকের দোকানে ছুটছেন প্রার্থীরা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
ছাপাখানা-মাইকের দোকানে ছুটছেন প্রার্থীরা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নীলফামারী থেকে: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা হাসান শেফালি। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) হারমোনিয়াম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ছুটে এসেছেন সৈয়দপুর ইত্যাদি অফসেট প্রেসে।

ছোট ও বড় মিলিয়ে ৩৫ হাজার পোস্টার ছাপাবেন তিনি।

সাহিদা বাংলানিউজকে বলেন, ভাই বেলা ৪টার সময় হারমোনিয়াম প্রতীক পেয়েছি। লটারিতে যা চেয়েছিলাম আল্লাহর রহমতে তাই পেয়েছি। মোট তিনটি ছাপাখানায় পোস্টার ছাপতে দিয়েছি। সব ছাপা খানায় অনেক ভিড়।

শুধু সাহিদা নয় কাউন্সিলর ও স্বতন্ত্র অন্য প্রার্থীরাও এখন ছাপাখানায় ভিড় করছেন। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের ভিড় তুলনামূলক কম। কারণ তারা প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন। তাই পোস্টার ছাপানোর কাজ আগে-ভাগেই সেরে ফেলেছেন। নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর পরই গোটা পৌরসভা ছেয়ে গেছে নৌকা, ধানের শীষ, লাঙল ও হাতপাখা সংবলিত পোস্টার।

এদিকে, সোমবার প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাপাখানার দিকে ছুটতে থাকেন স্বতন্ত্র মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এতে প্রার্থীদের চাহিদা পূরণে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ছাপাখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

একতা অফসেট প্রেসের মালিক মোহাম্মদ নূরন্নবী বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর হঠাৎ করেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এখন তিন থেকে চারদিন ধরে ছাপাখানা বেশি চলবে। কাজের চাপের কারণে ২৪ ঘণ্টা ছাপাখানা চালু রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

একতা ছাপাখানা সূত্রে জানা যায়, বাজারদর অনুযায়ী ১৫ ইঞ্চি বাই ২০ ইঞ্চির পোস্টার প্রতি হাজার ছাপা হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। অন্যদিকে, ১৮ ইঞ্চি বাই ২৩ ইঞ্চির পোস্টার ছাপা হচ্ছে হাজার প্রতি ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। প্রতিটি টিনের তৈরি এক ধরনের বড় পোস্টার ৩০০ টাকায় তৈরি করা হচ্ছে।

পৌরসভা এলাকায় নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙলের পোস্টারে ভরে গেছে। কারণ এসব পোস্টার আগে থেকেই ছাপানো ছিল। তবে মাইকের দোকানের দিকে ছুটছেন সব প্রার্থী। এতে এক ধরনের জামাই আদরে আছেন মাইক দোকানিরা।

সৈয়দপুর মাইক হাউসের মালিক আকরাম হোসেন। প্রার্থীরা মাইক ভাড়া নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান তিনি। দোকানে মোট মাইক আছে মাত্র ৩৫টি। কিন্তু অনেক প্রার্থী প্রচারণার জন্য ভাড়া চাচ্ছে মাইক। প্রতিটা মাইক উচ্চমূলে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।

এবার প্রতিদিন প্রচারণার জন্য মাইক প্রতি ভাড়া প্রায় পাঁচ থেকে হাজার টাকা ধরা হচ্ছে। মাইকে দোকানিদের মতে, ভোটের প্রচারে তাদের বাড়তি ব্যবসা হবে। তাই তারা এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না।

অনেক মাইকের দোকানি আবার প্যাকেজ পদ্ধতিতে মাইক ভাড়া দিচ্ছেন। শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন মাইক ভাড়া নিলে সঙ্গে কর্মী ও ভ্যানও নিতে হবে প্রতিদিন। এসব শর্ত না মানলে মাইক ভাড়া নয়।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্বাচনী আমেজের যেন পূর্ণতা পেয়েছে। চারিদিকে পোস্টার ও মাইকের প্রচারণায় উৎসব‍মুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে।

মাইকের চাহিদা প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘হামার (আমার) মাইক আছে ৩০টা। প্রার্থী কয়েকশ এ্যালা (এখন) কাক (কাকে) থুয়ে কাক দ্যামো (দেবো)। আগোত (আগে) মাইকে মরিচা ধরছিল এ্যালা তা ছুটাইম। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআইএস/টিআই

** ভোটের লড়াইয়ে মামার নৌকা, ভাগ্নের নারকেল গাছ
** প্রার্থী-কর্মীর ঘুম হারাম, দলের কার্যালয়ই ঠিকানা
** নির্বাচনী উষ্ণতায় ফিকে উত্তরবঙ্গের শীতও!
** দুর্নীতিতে ভুগছে বিএনপি, কোন্দলে আ’লীগ
** ‘নাম্বার ওয়ান বানাবো পঞ্চগড় পৌরসভাকে’
** ইমিগ্রেশন চালু হবে বাংলাবান্ধায়, চলছে অবকাঠামো উন্নয়ন
** ভোটে ঝোপ বুইজে কোপ দিবো ব্যাটা’
** ‘উন্নয়নের প্রতীক নৌকা’, ‘প্রতিবাদের ধানের শীষ’
** ‘হাম জিসকো চাহেঙ্গে! উসিকো ভোট দেঙ্গে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।