রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে): নারায়ণগঞ্জ শহরের গণবিদ্যা নিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে হাবিবা আক্তার শ্রাবণীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্ররোচণার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। শ্রাবণীর বাবা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মালেক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
মামলার বাদী মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, তার মেয়ে শ্রাবণীকে নকলের অভিযোগ এনে অপমান, চপেটাঘাত করায় আত্মহত্যা করতে সে বাধ্য হয়।
এর আগে এ ঘটনায় তদন্তে আসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মাধ্যমিক অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক ও জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তদন্ত শেষ করে চলে যান তারা।
গত বৃহস্পতিবার শহরের গণবিদ্যা নিকেতনে বার্ষিক পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করে শ্রাবণী। পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার পরিদর্শক নাসরিন বেগম শ্রাবণীকে আটক করে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান।
এসময় ওই কক্ষে থাকা স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্না শিক্ষার্থী শ্রাবণীকে উপুর্যপরি চড়-থাপ্পড় মারেন, পরে গালমন্দ করে পরিবারের কাছে অভিযোগ করবে বলে জানান। এ ঘটনায় ওইদিনের পরীক্ষা থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ অপমান সইতে না পেরে ওইদিনই আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে শ্রাবণীর পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়া, শ্রাবণী আত্মহত্যার কারণ হিসেবে স্কুল শিক্ষক নাসরিন বেগম ও খণ্ডকালীন শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্নার নাম উল্লেখ করে চিরকুট লিখে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আত্মহত্যাকারী শ্রাবণীর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তারা গ্রামের বাড়ি নিতাইগঞ্জ ভগবানগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় কামরুল হাসান মুন্নাকে সাময়িক বহিষ্কার ও নাসরিন বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
টিআই