বছরের পর বছর ধরে টানা প্রস্তুতি আর আলোচনার টেবিলে টানা দু’সপ্তাহ অক্লান্ত ঝড়ো সলা-পরামর্শ, দেনদরবার, এতো-এতো বক্তৃতা-বিবৃতি আর পর্দার অন্তরালের সমঝোতা----সবই ভেস্তে যেতে বসেছিল। সেটা একটি মাত্র শব্দের কারণে।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একটা শিরোনাম: ‘The one word that almost sank the climate talks.’
(লিংক: http://www.politico.com/story/2015/12/paris-climate-talks-tic-toc-216721)
ওবামা প্রশাসনের আইনজীবীরা শেষ মুহূর্তে চুক্তির খসড়ায় নজর বোলাতে গিয়ে দেখেন আর্টিকেল ফোর-এ "shall" শব্দটার উপস্থিতি। এর আগের চুক্তিগুলোতে "should" শব্দ ছিল। মানে বাধ্যবাধকতার বদলে ধনী দেশগুলোর ওপর তখন চাপটা ছিল নৈতিক। কিন্তু এবার সেখানে "shall" শব্দ জুড়ে দেওয়ায় প্রশস্ত হয় জটিলতার পথ। মানে এই "shall" শব্দটা থাকলে ওবামা প্রশাসনকে বাধ্য হয়ে আগে সিনেট কর্তৃক সেটি অনুমোদন করিয়ে নিতেই হতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তো তা করারও সম্ভব ছিল না। এর মানে চুক্তিটাই ভেস্তে যেতো তাতে। তাছাড়া আমেরিকানরা সেটা মানার পাত্রও নয়।
অবশেষে সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্সকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করানো হলো। অগত্যা চুক্তিটা বাঁচাতে প্রায় শেষ মুহূর্তে "shall" শব্দের স্থলে "should" বসিয়ে চুক্তির সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকানো গেল। সবকিছু ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন হলো। স্বাক্ষরিত হতে পারলো ঐতিহাসিক চুক্তিটা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএম