ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির

বিজয় দিবস উদযাপনে মুখরিত দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
বিজয় দিবস উদযাপনে মুখরিত দেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ট দিন মহান বিজয় দিবস। আজ ১৬ই ডিসেম্বর ৪৫তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে জাতি।

প্রতু্যষে ৩১বার তোপধ্বনি তুলে দিবসের উদযাপন শুরু হয়। সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে নামে সাধারণ মানুষের ঢল।

বেলা বাড়তেই মহান বিজয় দিবসের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ লাখো মানুষকে, বিজয় উৎসবের আনন্দে মাতিয়ে তোলে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর এ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ । এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজ নানা ধরনের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মহান বিজয় দিবসের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ মুগ্ধ করেছে লাখো মানুষকে, বিজয়ে উৎসবের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্মিলিত বাহিনীর এ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। পরে প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি।  


এবারের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লে. জেনারেল (অব.) ভিষ্ণু কান্ত চতুরভেদীর নেতৃত্বে ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে করে আমাদের বিজয়কে ত্বরাম্বিত করেছিলেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, ঊধ্বর্তন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং বৈদেশিক কূটনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিকী ববি।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদও ছিলেন কুচকাওয়াজে।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ৯ ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অংশগ্রহণ করে।

এবারের বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে নতুনভাবে সংযোজিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী কন্টিনজেন্ট।

কুচকাওয়াজে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি বৃহৎ জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়।

বিজয় দিবস প্যারেডের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে পালন করেন ৯ ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পিএসসি।

কুচকাওয়াজের যান্ত্রিক বহরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্বলিত সুসজ্জিত গাড়িবহর প্রদর্শিত হয়। সেনাবাহিনীর প্যারাটুপাররা আকাশ থেকে অবতরণ করে কুচকাওয়াজকে আরও আর্কষণীয় করে তোলেন।

বিভিন্ন যান্ত্রিক বহনের প্রদর্শনের পরই ফ্লাইটপাস্ট ও অ্যারোবেটিক ডিসপ্লেতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

** বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতির সালাম গ্রহণ

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এমইউএম/ওএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।