ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সব আন্দোলন সংগ্রামেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই যেকোন জাতীয় দিবসেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ব্যাপক জনসমাগম হয়।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, অপরাজেয় বাংলা, স্মৃতি চিরন্তনসহ (ভিসি চত্ত্বর) গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ এসেছেন জাতীয় পতাকার রঙের সাথে মিল রেখে পোশাক পরে। তা না হলেও অন্তত মাথায় বা হাতে পতাকার আদলে ব্যান্ড পরে এসেছেন অনেকেই।
অনেকেই এসেছেন সপরিবারে, কেউবা শিশু সন্তানকে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন। বিজয়ের এ উপলক্ষ উদযাপনে আগতদের ভিড়ে জনারণে পরিণত হতে শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
টিএসসি মিলনায়তনের সামনে কথা হয় সপরিবারে ক্যাম্পাসে আসা আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমনের সঙ্গে। লিমন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এদেশ পেয়েছি। অন্য বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভক্তি থাকলেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো বিরোধ থাকা উচিত নয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে দেশের স্বার্থে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আইয়ুব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছয় শিক্ষিকা বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুলের অনুষ্ঠান শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেড়াতে এসেছেন। এদের একজন রেশমা নাহার রত্না, যিনি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এই শিক্ষিকা বলেন, লাখো মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এ দিনটি এসেছে, এটা নিছক আনন্দ উৎসব নয়। বিজয় দিবস এক দিনের জন্য নয়, বিজয়ের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করাই মুখ্য বিষয়।
এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষিকা মারিয়া করিম লিয়া তার কথার সাথে যোগ করেন, আমাদের সবার মনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করাই যেন আজকের দিনে সবার অঙ্গীকার হয়। বিজয় দিবসে একটু ঘোরাঘুরি করলাম বা মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললাম আর কাজ করলাম দেশের স্বার্থবিরোধী তা হলে হবে না।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এইচআর/এমআইকে