ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাজার-হকার উচ্ছেদে যানজট কমেছে রামপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
বাজার-হকার উচ্ছেদে যানজট কমেছে রামপুরায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কিছুদিন আগেও রামপুরা এলাকায় সৃষ্টি হতো তীব্র যানজট। সকাল কি রাত সবসময়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের ভোগান্তি নিয়ে যাত্রীরা পৌঁছাতেন গন্তব্যে।

তবে ডিআইটি সড়কের ওপরে চলা রামপুরা কাঁচাবাজার ও এর আশপাশের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করায় যানজট কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গত সপ্তাহে রামপুরা কাঁচাবাজারটি সড়কের পাশ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হয়।
 
এরপর থেকে ডিআইটি রোড এলাকার রামপুরা বাজার ও রামপুরা ব্রিজের যানজট অনেকটা কমে এসেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা।

রামপুরা ব্রিজ এলাকায় সৃষ্টি হওয়া তীব্র যানজট এড়াতে বনশ্রী থেকে গাড়িগুলো চৌরাস্তা হয়ে সরাসরি হাতিরঝিলে প্রবেশ করতো। এখন সে পথটিও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ওই এলাকার নির্মাণাধীন ইউ-লুপের নিচ দিয়ে একটি রাস্তাকে হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযুক্ত করাতে সে এলাকার যানজটও কমেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
 
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ও দুপুরে সরজমিনে ওই এলাকায় দেখা যায়, টঙ্গী, উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরের বিভিন্ন যানবাহন প্রগতি সরণি হয়ে ডিআইটি রোড দিয়ে রামপুরা অতিক্রম করে যাত্রাবাড়ি, পোস্তগোলা এবং অন্যদিকে সদরঘাট যাতায়াত করছে। এ সড়ক দিয়ে গাজীপুর, আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাস মাওয়া পর্যন্ত চলাচল করে থাকে।
 
সড়ক ও ফুটপাতে দোকানপাট না থাকায় এ সময় রামপুরা বাজার এলাকায় আগের মতো যানজটে পড়তে হচ্ছে না পরিবহনগুলোকে।

টঙ্গী থেকে আসা তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের চালক রিয়াজ মিয়া বলেন, রামপুরা এলাকার বাজারটি সড়ক থেকে তুলে দেওয়ায় এ এলাকার যানজট অনেকটা কমেছে। ফুটপাতও দখলমুক্ত হয়েছে।

তবে এ অবস্থা দীর্ঘদিন বজায় থাকবে কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই বাসচালক। রামপুরা বাজারের মতো সড়কের ওপর রাজধানীর অন্যান্য এলাকার বাজারও উচ্ছেদ করার দাবি জানান তিনি।
 
রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী সায়েদুল বলেন, বাজারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা আছে। এর বাইরে যারা দোকান বসান সেগুলো অবৈধ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এসব দোকানপাট বসানো হয়। কয়েক বছর পর পর অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও পরবর্তীতে আবার বসানো হয়।

এ ব্যাপারে নিয়মিত তত্ত্বাবধানের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন ব্যবসায়ী সায়েদুল।

রামপুরা বাজারের পাশে সড়কের একটি অংশ দখল করে ছিল কাঁচাবাজার। এছাড়া ফুটপাতে ছিল মাছ, মাংস ও মুরগির দোকান। এসব দোকানিদের একজন রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে দোকান করে আসছি। হঠাৎ করে আমাদের তুলে দেওয়া হয়েছে।
 
তবে তাদের দোকানপাট উচ্ছেদ করাতে ওই এলাকার যানজট কমেছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরাও চাই কেউ যেন আর নতুন করে দোকানপাট না বসান। দুই/একটা দোকান বসানোর সুযোগ দিলে সবাই দোকান বসাতে চাইবেন। এর চেয়ে ভালো হতো দোকানপাট বসানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে যদি আলাদা একটি জায়গা করে দেওয়া হতো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
টিএইচ/এমজেএফ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।