ঢাকা: মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও নাশকতা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছন, ইজতেমা চলাকালে যাতে কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে, সেজন্য এবার কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, সব ধরনের নাশকতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে কাজ করবে। গতবারের মতো এবারও ওয়াচ টাওয়ার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
‘অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারও সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আর নজরদারির জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কঠোর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ইজতেমা ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে; যাতে কেউ নাশকতা করলে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ’
‘ইজতেমা এলাকায় ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে; পুরো এলাকার নিরাপত্তা এবং পয়ঃনিস্কাশন ও পানি এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। ’
‘বিশেষ করে গোয়েন্দা নজরদারি বেশি থাকবে, যাতে কোনো অঘটন না হয়,’ বলেন তিনি। বিদেশি অতিথিদের অবস্থানের গেটে আর্চওয়ে থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য যানবাহন থাকবে। প্রতিবারের মতো রেল, বাস ও নৌযান চলাচল করবে। সদরঘাট থেকে নৌ সার্ভিস ছোট ছোট লঞ্চে করে ইজতেমা মাঠের কাছে মুসল্লি নিয়ে আসবে। ’
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস, রেসকিউ ও মেডিকেল টিম থাকবে।
‘মনে করছি, ইজতেমা সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হবে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হজের পর জমায়েত হন এখানে। আমরা গর্ব বোধ করি, ঠিকভাবে এ জমায়েত সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ’
আসছে ৪ জানুয়ারি সকালে পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার এবং অন্যান্য সার্ভিস প্রদানকারীরা ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান মন্ত্রী।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক, ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান ছাড়াও পুলিশ প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এমএ