আজাদকে চেনা যায় কাজ দিয়ে! কাজই যেনো তার প্রাণ। বাংলানিউজ ছেড়ে একবার মোটা মাইনেতে কর্পোরেটে চাকরি নিয়েছিলো, দিনকয়েকে কমকাজে হাপিয়ে উঠে ফের ফিরেছে।
‘সাংবাদিকতায় প্রয়োজন কর্মীর, কর্মকর্তার নয়,’ এমন একটা কথা এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন প্রায়শঃই বলেন। আর তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন মফিজুল সাদিকের কথা। বাংলানিউজের কর্মী রিপোর্টার মফিজুল সাদিককে যেকোনও অ্যাসাইনমেন্টে পাওয়া যায়। স্রেফ মনের জোরে আর অবিরাম চেষ্টায় যে সেরা সেরা কাজগুলো করা সম্ভব তা মফিজুল সাদিক দেখিয়েছেন। একবার দুইবার নয়, বার বার। কাকডাকা ভোর, সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, মধ্যরাত, গভীররাত যখনই ডাক পড়ে সাদিকের না নেই। আর কঠিন কোনও রিপোর্ট যাতে, গায়ের খাটুনি দরকার পড়ে তাতে বুঝেশুনে সাদিকের ডাকটা একটু বেশিই পড়ে, কারণ সেই আস্থা সে অর্জন করেছে। কোনও নিউজ হাতে পেলে তা কতদ্রুত নিউজরুমে পৌঁছে দেবে সেটা মফিজুল সাদিকের মূল চিন্তা। শারীরিক অসুস্থতায়ও তাকে দেখা যায় সক্রিয়। আর বড় কোনও দুর্ঘটনা, কোনও অঘটন, কিংবা কোনও বড় ইভেন্ট তাতেও সাদিক অনিবার্যভাবে থাকবে টিমের সদস্য হিসেবে। ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসাইমেন্টেও সে সাহসি সদস্য। বাংলানিউজের হয়ে প্রধানত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় দেখছে এই কর্মী। আর দৃঢ়তার সঙ্গেই বলা যায় এই বিটে সে তার দক্ষতা দেখিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর, সরকারের সিদ্ধান্ত ব্রেক করে। ২০১৪ সালে বাংলানিউজের সেরা কর্মী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মফিজুল সাদিক। এবছরও তার নামটি উচ্চারণ করলেন মাননীয় এডিটর ইন চিফ। সাদিককে বাংলানিউজের অভিনন্দন।
২০১৫ সালে যদি কারো একক কৃতিত্বে বাংলানিউজের নাম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে যায় তাকে চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হবে না। তিনি মাজেদুল নয়ন। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান মোটর র্যালিতে একমাত্র মিডিয়া কর্মী হিসেবে যখন বাংলানিউজকে নির্বাচন করে চার দেশ তখন এডিটর ইন চিফ নির্দ্বিধায় নির্বাচন করেন মাজেদুল নয়নকে। আর সেই আস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে নয়ন তার যোগ্যতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়েছে। চার দেশে দীর্ঘ সাড়ে চার হাজার মাইল মোটর যাত্রায় তার হাতে রচিত হয়েছে শতাধিক নিউজস্টোরি। যা সড়ক পথের ওই রুটে চার দেশকে একটি সুতোয়ই কেবল নয়, গেঁথে রেখে কথামালায়। নয়নের এই কৃতিত্ব গৌরবান্বিত করেছে বাংলানিউজকে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সফর করে সেখানে বাংলাদেশিদের জীবন জীবিকা, পাচারের শিকার মানুষগুলোর মানবেতর জীবনের কথা তুলে ধরেছে। আর তা ব্যাপকভাবে পঠিত হয়েছে। ওইসব দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলানিউজের জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা দিয়েছে তার এই প্রচেষ্টা। মাজেদুল নয়নের হাতে লেখনি আছে, তার কলম কথা বলে, সত্যকে তুলে ধরে। বাংলানিউজের মতো গতিশীল মিডিয়াতে মাজেদুল নয়নের মতো গতিশীল কর্মী প্রয়োজন। তাকে অভিনন্দন।
বাংলানিউজের একজন নিরব কর্মীকে অনেকেই চিনবেন না। কারণ তিনি সংবাদকর্মী নন। তার নাম প্রকাশিত হয় না কখনোই। তবে বাংলানিউজের সঙ্গে যাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তাদের সেই কর্পোরেট মহলে হাসান মাহমুদ বেশ জনপ্রিয়। টল-ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসামরা মার্কেটিং বিভাগে ভালো করবে সেতো বটেই। তবে তার মধ্যে হাসান বিনয়ী। বাংলানিউজকে ব্র্যান্ডিং করা, কর্পোরেট মহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলা এর সেরা দিকগুলো তাদের সামনে তুলে ধরে বাংলানিউজের প্রতি তাদের আগ্রহী করে তোলা, আর সেসবের মধ্য দিয়ে অন্যতম লক্ষ্য, ব্যবসায়িক দিক থেকে বাংলানিউজকে আরও শক্ত অবস্থানের দিকে নিয়ে যাওয়াই মাহমুদ হাসানের অন্যতম কাজ। আর সেটি তিনি বছরের পর বছর ধরে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালের সেরা কর্মী হিসেবে তাই হাসান মাহমুদের নামটি তুলে এনেছেন মাননীয় এডিটর ইন চিফ।
মুফতি এনায়েতুল্লাহ দেশের তরুণ মুফতিদের অন্যতম একজন। তিনি বাংলানিউজের ইসলাম বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। মুফতি এনায়েতকে চেনা যায় তার কাজে, লেখনিতে। অত্যন্ত আধুনিকমনষ্ক ধর্মপ্রাণ একজন মুসলিম। ইসলাম ধর্মকে সময়ের সঙ্গে উচ্চে তুলে রাখতে গবেষণাধর্মী কাজ ও মননশীলতা দুইই রয়েছে তার। আর তা ফুটে ওঠে ধর্ম বিষয়ক সকল লেখালেখিতে। শান্তির ধর্মকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে এখন ডিজিটাল মিডিয়ার আশ্রয় নিতে হবে তা এই ইসলামী চিন্তাবিদ বুঝতে পেরেছেন আর সে কারণেই বাংলানিউজের সঙ্গে তার গাঁটছড়া। মুফতি এনায়েতকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, কারণ তার হাতে বাংলানিউজের একটি নতুন মাত্রার পাঠক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যারা আধুনিকমনষ্ক ও ধর্মপ্রাণ। মুফতি এনায়েত বাংলানিউজের কর্মী হয়েছেন বছর খানেকই হবে, আর প্রথম বছরেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন টিমের সেরা কর্মী হিসেবে। মুফতি এনায়েতকে আন্তরিক অভিনন্দন।
বাংলাদেশ সময় ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এমএমকে