ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এতিমদের দায়িত্ব সরকারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
এতিমদের দায়িত্ব সরকারের

ঢাকা: এতিমদের দায়িত্ব সরকারের জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নিজেরাও বাবা-মা হারিয়ে এতিম। আমরা সরকারে এসেছি মানুষের সেবা করতে।

এতিমের টাকা চুরি খাওয়ার জন্য আসি নাই।
 
শনিবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ও সমাজসেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সমাজসেবা দিবস ও সমাজসেবা সপ্তাহের স্লোগান ‘সমাজসেবা প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে দেশটা’।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এতিমদের দিতে এসেছি। কারণ, আমরা নিজেরাও বাবা-মা হারিয়ে এতিম হয়েছি। এতিম হওয়ার কষ্ট আমি আর রেহানা ছাড়া মনে হয় আর কেউ বেশি জানে না।
 
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এতিমদের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে, আমি নিয়েছি। প্রত্যেকের জীবনমান উন্নয়ন- এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
 
সমাজসেবা রাজনীতিকদের দায়িত্ব- এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য সমাজের সেবা করা।
 
সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, কেউ কারো বোঝা হয়ে থাকবে না। সবাই নিজের পায়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, আমরা অস্বচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছি। আমরা বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তদের ভাতা দিচ্ছি। আশ্রয়ন প্রকল্প করে প্রায় দেড় লাখের মতো মানুষকে পুনর্বাসন করে দিয়েছি। যাদের ভিটে-মাটি আছে তাদের আমরা গৃহায়ন তহবিল থেকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।
 
উন্নয়নের সুফল সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা না গেলে দেশটাকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
 
১১ লাখ ১৩ হাজার ২০০ জন দুস্থ, ৬ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতা ও বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কথা তুলে ধরেন তিনি।
 
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মাধ্যমে জনকল্যাণে ব্যয় করার কথাও উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
 
সর্ব নিম্ন ৫০০ টাকা, সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা করে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের সহায়তাসহ সমাজের অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার কথা তুলে ধরেন তিনি।
 
ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ ভিক্ষে করবে কেন? তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।
 
কেউ যাতে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে না নেয় সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ ভিক্ষা করাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। তাদের আবার সর্দার থাকে। ভিক্ষা করে তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। তাদের পুনর্বাসন করলেও ফিরে আসে। এটা যেন করতে না পারে।
 
রাস্তার ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনে বিশেষ জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
 
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইল বই এবং সরকারি শিশু পরিবারের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
 
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, সচিব তারিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৫/আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।