ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পৌর নির্বাচন

সিরাজগঞ্জে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
সিরাজগঞ্জে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

সিরাজগঞ্জ: সদ্য সমাপ্ত (৩০ ডিসেম্বর) পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দফায় দফায় শহরের বাহিরগোলা বাজার এলাকায় শাহেদনগর ও নতুন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।



আহতদের মধ্যে নতুন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল (৪৫), নেঙ্গু খানের ছেলে মোহাব্বত আলী (৩৮), পিয়ার খান (৪০), কেতু খানের ছেলে শরিফুল (৩৫), আব্দুর রশিদের ছেলে ইসমাইল (২৫), সাহেদ নগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জকের ছেলে সবুজ (৩৬), মৃত ওমর আলীর ছেলে সেলিম ওরফে কালা গ্যাদা (৪০), জুরান আলীর ছেলে রবিউল (৩৫), মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে বাণী (৩২), আকরামের ছেলে মুন্না (৩০), সেলিম ব্যাপারির ছেলে রকি (২৬), নিলমিয়া ব্যাপারির ছেলে বিজয়ের (২৮) নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এবারের পৌর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শাহেদনগর গ্রামের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিন (প্রতীক-ব্রিজ) ও নতুন ভাঙ্গাবাড়ী মহল্লার শাহাদত হোসেনের (প্রতীক-পানির বোতল) সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষের মাতব্বররা মিলে রোববার (৩ জানুয়ারি) সালিশ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার আগেই শনিবার সকালে নতুন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েলকে মারধর করেন বুদ্দিন সমর্থকরা। এতে আবারও দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রামের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নব নির্বাচিত কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বুদ্দিন তার বাহিনী নিয়ে আমার গ্রামের লোকজনের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছেন।

পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের দাবি, নতুন ভাঙ্গাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় আমার এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দেন শাহাদত হোসেনের লোকজন। জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন করায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বাসুদেব সিনহা জানান, নির্বাচনের রাতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে শনিবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এছাড়া ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।