ঢাকা: স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংযুক্ত-প্যাকেট ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত করার সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১৯ মার্চ। সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি অনুযায়ী, এ সময়ের পর সব প্রতিষ্ঠানকে সতর্কবাণী সংযুক্ত-প্যাকেটে তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত করতে হবে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর ইলেট্রনিক্স কপি সরবরাহ করলেও কোম্পানিগুলো তা প্রতিহতে ‘কূটকৌশল’র আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি না মানতে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছেন। বুধবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
নাটাবের নির্বাহী পরিচালক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক কোম্পানির মধ্যে বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তা বাধাগ্রস্ত করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ এফসিটির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হয়েও নেপাল, শ্রীলংকার পেছনে রয়েছে। এসব দেশে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০ শতাংশ স্থানে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী রয়েছে। পেছনে থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি থাকার পরও এটি হচ্ছে না।
সমস্বর’র নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করেন, যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় মাত্র ১২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আইন বাস্তবায়ন করলেও আমাদের দেশে তা বাস্তবায়নে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে।
সতর্কবাণী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে ধন্যবাদ জানান, নাটাব সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় এ আইনের ব্যতয় ও ফাঁক গলিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
আরইউ/এফবি/আইএ