খুলনা: একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি গল্লামারি বধ্যভূমি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেডিও স্টেশন (গল্লামারি রেডিও সেন্টার) ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে গল্লামারি নদীতে ফেলে দেওয়া হতো।
বিজয় দিবসের পর গল্লামারি বধ্যভূমিতে হাজার হাজার মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। নাম না জানা হাজার হাজার শহীদদের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে গল্লামারির এ বেতার কেন্দ্রের বধ্যভূমি। এ বধ্যভূমিকে ঘিরে গড়ে ওঠে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র বেতার ভবন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের পাশে ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক স্থানটি চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’- এর ট্রাস্টি সভাপতি ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম, ট্রাস্টি কোষাধ্যক্ষ শংকর কুমার মল্লিক, ট্রাস্টি হুমায়ুন কবির ববি, ট্রাস্টি চৌধুরী শহীদ কাদের, অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহিদুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, আমরা ‘১৯৭১: গণহত্যা- নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করেছি বর্তমান প্রজন্মকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং রাজাকার- আলবদর- আলশামস বাহিনীর গণহত্যা-নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রয়েছে তা জানানোর লক্ষ্যে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ‘গল্লামারি বধ্যভূমি’ চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হল। আর্কাইভের পক্ষ থেকে সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নির্যাতন কেন্দ্র, গণকবর ও বধ্যভূমি চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর