ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মানবাধিকার রক্ষায় সংস্থাগুলোকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
মানবাধিকার রক্ষায় সংস্থাগুলোকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্বের ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার রক্ষার নামে প্রতারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

এ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (অ্যালার্ট) আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এমন অভিমত দেন।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যালার্ট’র সভাপতি ও  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত পরিস্থিতি বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে আড়াই লাখ লোক নিহত হয়েছে, এক কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে শরণার্থী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। মুসলিমদের নিয়েও চলছে পশ্চিমা দেশগুলোর নানা ষড়যন্ত্র।

‘অস্ত্র তৈরিকারক দেশগুলো অস্ত্রব্যবসা চালু রাখতে যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায়  জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এসব পরিকল্পিত যুদ্ধ অবসানে এগিয়ে আসতে হবে। ’

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ষড়যন্ত্র হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের এ ফাঁদে পা দিলে সবচেয়ে বড় ভুল হবে। এজন্য জনগণকে সম্পূর্ণ সচেতন  থাকতে হবে। যেনো কোনো অবস্থায়ই দেশে জঙ্গিবাদ বা কোনরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে না পারে এবং এ থেকে সাম্রাজ্যবাদীরা কোনো ধরনের সুযোগ নিতে না পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/জেপি/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।