ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলনরত আলীম জুট মিল শ্রমিকদের নতুন কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
আন্দোলনরত আলীম জুট মিল শ্রমিকদের নতুন কর্মসূচি

খুলনা: খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের রাষ্ট্রয়ত্ব আলীম জুট মিলের আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা ৮ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
 
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাজপথ অবরোধ, মানববন্ধন, রাজপথে কফিন মিছিল, লাঠি মিছিল, গেটসভা।


 
মিলটি ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ, কথিত মালিকের ভুয়া কাগজপত্র বাতিল করে মিলের উৎপাদন চালু ও বকেয়া বিল বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে পুর্বনির্ধারিত গেটসভায় এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে ১১ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১০টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কে রাজপথে লাঠি মিছিল, ১২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় লাঠি মিছিল, ১৩ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মিল সংলগ্ন রাজপথে মানববন্ধন, ১৬ জানুয়ারি (শনিবার) সকাল ১০টায় রাজপথে লাঠি মিছিল, ১৭ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ১০টায় আলিম জুট মিল ১নং গেটে গেটসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রতিবাদ সভা, ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১০টায় আটরা শিল্পাঞ্চলের খুলনা-যশোর মহাসড়কে কফিন মিছিল, ১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের রাজপথে লাঠি মিছিল, ২০ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা খুলনা-যশোর মহাসড়কের আটরা শিল্পাঞ্চলের রাজপথ অবরোধ।

গেট সভায় জানানো হয়, এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামীতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের সব সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয়ে বৈঠক করে রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
 
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ও জুট মিল রক্ষা কমিটির কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে গেটসভায় বক্তব্য রাখেন সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জমাদ্দার, সিবিএ সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল লিঠু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার, সিবিএ সাবেক সভাপতি মো. আব্বাস বিশ্বাস প্রমুখ।

১৯৬৮ সালের ১ জুলাই খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় মেসার্স আলীম জুট মিলস লিমিটেড শিল্প প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে (পিও ২৭) মিলটি রাষ্ট্রয়ত্ব করা হয় এবং বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিল হিসেবে এখনও পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে।

১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করে ৩০টি জুট মিল বাংলাদেশি মালিক, যাদের শেয়ার ৫১ শতাংশ রয়েছে  তাদের  কাছে  হস্তান্তর  করা  হবে। সে  ঘোষণা অনুযায়ী ২৯টি মিল হস্তান্তর করা হয়।

কিন্তু মেসার্স আলীম গং৪১ দশমিক ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ার দেখাতে পারেনি বিধায় মিলটি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মিলটি বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।