ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জেএসসিতে সিলেট বোর্ডে বেড়েছে পরীক্ষার্থী ও ‍শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
জেএসসিতে সিলেট বোর্ডে বেড়েছে পরীক্ষার্থী ও ‍শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিলেট: জুনিয়র সার্টিফিকেট পরিক্ষায় (জেএসসি) সিলেট বোর্ডে এবার বেড়েছে পরিক্ষার্থী।   সেই সঙ্গে বেড়েছে কেন্দ্রসংখ্যা ও স্কুল।

ক’দিন ১নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। এমনটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তপাদার।

বোর্ডের তথ্যমতে, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরিক্ষায় আগের বছরের তুলনায় পরিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৭শ’ ৪৪ জন।   কেন্দ্র বেড়েছে ৫টি এবং স্কুল বেড়েছে ১৩৫টি।

এ বছর ১ হাজার ৪টি বিদ্যালয়ের ১লাখ ৩২ হাজার ৯শ’ ৯৬ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে নিয়মিত ১লাখ ২৬ হাজার ৬শ’ ৯৭ এবং অনিয়মিত ৬ হাজার ২শ’ ৭২ জন বলে জানিয়েছেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মঈনুল হোসেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘শেষ মূহুর্তে যুক্ত হয়েছে আরও প্রায় ৩শ’ পরীক্ষার্থী।   এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৫৭ হাজার ৯শ’ ৩১ জন এবং মেয়ে ৭৫ হাজার ৩৮জন।  

বোর্ডের অধীনস্থ চার জেলার মধ্যে সিলেটে ৪৮ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন, মৌলভীবাজারে ২৯ হাজার ৫শ’ ৩০ জন, হবিগঞ্জে ২৬ হাজার ৪শ’ ০৫ জন এবং সুনামগঞ্জে ২৮ হাজার ৫শ’ ৮০ জন পরীক্ষার্থী এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

বোর্ডের এই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৫ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১লাখ ২৮ হাজার ৯শ’ ৫২ জন। ওই বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৭শ’ ১৩ এবং অনিয়মিত ৬ হাজার ২শ’ ৩৯ জন।   গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে এবার স্কুল ও কেন্দ্রসংখ্যা বেড়েছে।

২০১৫ সালে ১শ’ ১৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হলেও এবার আরও ৫টি কেন্দ্র বেড়েছে।   ওই বছর ৯শ’ ৬৯টি স্কুলের শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও এবার ১ হাজার ৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তপাদার বাংলানিউজকে আরও বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে যথাসময়ে জেএসসি পরিক্ষা  অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জেএসসি পরীক্ষা এসএসসি’র মতোই পরিচালিত হয়। অত্যন্ত কঠোরতার মধ্যে ৩২ সেট প্রশ্ন করা হয়েছে। ফলে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা নেই। ’

কতিপয় দুষ্ট শ্রেণীর লোক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পুরাতন একটি প্রশ্ন তুলে দিয়ে বিভ্রান্তির সুষ্টি করতে পারে উল্লেখ করে তিনি  এসব থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
 
বাংলাদেশ সময়:০৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এনইউ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।