ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রিকেট-ফুটবল মিলেমিশে একাকার

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
ক্রিকেট-ফুটবল মিলেমিশে একাকার ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: ক্রীড়াজগতের ঐতিহ্যের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে আছে ফুটবল ঠিক তেমনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পরিচিতির সঙ্গে বর্তমানে একাত্ম ক্রিকেট। ক্রিকেট আর ফুটবল ছাড়া দেশের ক্রীড়াজগৎ অসম্পূর্ণ।

দেশজুড়ে জনপ্রিয় এই খেলা দুটিই একই মাঠে একই সময়ে একাধিক দলের অংশগ্রহণে দেখতে পাওয়া যায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। ক্রিকেট-ফুটবল এ মাঠে মিলেমিশে একাকার!

একই মাঠে একদল খেলছে ক্রিকেট তো অন্য দল ফুটবল। কখনও কখনও ফুটবলের মাঠে চলে যাচ্ছে ক্রিকেট বল কখনও আবার ক্রিকেটের মাঠে গড়িয়ে আসছে ফুটবল। কখনও ফুটবল নিয়ে ছুটতে গিয়ে খেলোয়াড় চলে যাচ্ছেন ক্রিকেট পিচের উপর কখনও আবার ব্যাটসম্যানের হাঁকানো ছক্কার বলটি গিয়ে পড়ছে গোলবারে। প্রয়োজনে ফুটবলের খেলোয়ার কুড়িয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে ক্রিকেট বল কখনও আবার ফুটবলটি এগিয়ে দিচ্ছে ক্রিকেটাররা।

সাপ্তাহিক ছটির দিন শুক্রবারে ক্রিকেট-ফুটবলের যোগসূত্রে মেলবন্ধন হয় খেলোয়াড়দের মাঝেও। একজনের জায়গায় অন্যজনের বল গেলেও বাধছে না কোনো দ্বন্দ্ব। বরং এক দলের খেলোয়াড়রা তাদের খাবার শেয়ার করছে অন্য দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে। ক্রিকেট-ফুটবল তৈরি করেছে অন্যরকম এক ভ্রাতৃত্ববোধ।

কথা হয় দত্তপাড়া থেকে ক্রিকেট খেলতে আসা নওশাদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ইজতেমা মাঠে ভিড় বেশি হয়। আমরা যে যার মতো এসে জায়গা নিয়ে খেলা শুরু করি। খেলার জায়গা কম তাই এক খেলার বল অন্য খেলার জায়গায় চলে যায়। এ নিয়ে কখনও সমস্যা হয় না। বরং এখানে এসে অনেক নতুন বন্ধু হয়। দেখা যায় আমরা কেউ কাউকে চিনি না কিন্তু একজন অপরজনকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছি।

ঠিক একইভাবে টঙ্গীর পাগাড় এলাকা থেকে ফুটবল খেলতে আসা মুহিত বলেন, আমরা এখানে অনেকেই অনেকের শুধু মুখ চিনি কিন্তু নাম জানি না। আমরা একই জায়গায় অনেকে খেলার কারণে দেখা যায় ফুটবল খেলতে খেলতে ক্রিকেটও খেলে ফেলি!

খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তরুণদের মাঝে যে তৈরি হতে পারে ভ্রাতৃত্ববোধ তারই প্রতিফলন যেন দেখতে পাওয়া যায় ইজতেমা মাঠে।

** ভোর হলেই তারুণ্যে মুখর ইজতেমা মাঠ

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
ইউএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।