ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা-মংলা রেল, আংশিক সরছে মহিষ প্রজনন খামার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
খুলনা-মংলা রেল, আংশিক সরছে মহিষ প্রজনন খামার ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের মধ্য দিয়ে খুলনা-মংলা পোর্ট রেল লাইন নির্মাণের এলাইমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে রেল রুট ঠিক রেখে মহিষ খামারের একাংশ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে রেল লাইন নির্মাণের এলাইমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়।

খুলনা-মংলা রেলপথ ও মহিষ প্রজনন খামার দুটিই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কোনটিই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরির সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আহমেদ মোরশেদ, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, খুলনা-মংলা রেলের প্রকল্প পরিচালক মো. মুজিবর রহমান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

সভা শেষে ড. মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নাধীন ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মংলা রেলের ১ হাজার ১শ ফুট এলাইনমেন্ট মহিষ-প্রজনন খামারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এতে মহিষ-প্রজনন কেন্দ্রে মহিষের প্রজনন, অকাল প্রসবসহ লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজনন-খামার রক্ষার্থে এলাইমেন্ট কিছুটা পরিবর্তন করে মহিষ খামার উত্তর পশ্চিম দিকে ১৫০ গজ দূরে প্রায় ২০ একর জমি নতুন অধিগ্রহণ করে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। যাতে রেল লাইন ও মহিষ প্রজনন খামারের কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে গঠিত কমিটি সরজমিনে পরিদর্শন করে সরকারের কাছে তুলে ধরতে এই সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের মধ্য দিয়ে খুলনা-মংলা রেললাইন স্থাপনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকে সভাপতি ও রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।