ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা শহরকে বিদেশি শহর করবো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
‘ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা শহরকে বিদেশি শহর করবো’ ছবি: জিএম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা শহরকে বিদেশি শহরগুলোর মত করবো’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ঢাকার উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকা পেয়েছি।

জনগণ, স্থানীয় নেতা ও সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পুরো ঢাকা শহরকে বদলে দেওয়া হবে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর-১ নম্বর হযরত শাহ আলী (র.) সুপার মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনের সময় লিখিতভাবে গ্রিন ঢাকা, ক্লিন ঢাকা, যানজট ও ফুটপাতমুক্ত নগরীসহ যে সব ওয়াদা দিয়েছিলাম, সেই ওয়াদা রক্ষার চেষ্টা করছি। মেয়রের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ জনগণের সহায়তা দরকার।

ঢাকা শহরকে বিলবোর্ড মুক্ত করার বিষয়ে মেয়র বলেন, প্রভাবশালীদের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ঢাকাকে বিলবোর্ড মুক্ত করেছি। শুধুমাত্র ঢাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ২০ হাজার বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছি।

মিরপুরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে মেয়র বলেন, আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। যে দোকানের সামনে ফুটপাত বেদখলে থাকবে, ওই দোকানের ট্রেড লাইন্সেস বাতিল করা হবে।

এ সময় ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে জনগণের হাঁটার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রভাবশালীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঘুষ প্রথা বন্ধ করতে ভয়েস রের্কড করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, দোকান ও ট্রেড লাইন্সেস নিতে কেউ ঘুষ দিবেন না। কেউ ঘুষ চাইলে ভয়েস রের্কড করবেন। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক বলেন, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। স্থানীয় নেতাদের ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

এ সময় দোকানের সামনের ফুটপাত দখল থাকলে, ওই দোকানের ট্রেড লাইন্সেস বাতিল করার জন্য ডিএনসিসির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কাউন্সিলর টিপু সুলতান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিসবাউল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ২ দশমিক ৪৪ একর জমির উপর হযরত শাহ আলী মার্কেটে নির্মাণ করা হয়েছে। দশতলা আধুনিক মার্কেটে রয়েছে ১টি বেইজমেন্টে।   যেখানে ১০০টি কার পার্কিং করা যাবে। মার্কেটে দোকান সংখ্যা ৩ হাজার ৪১০টি। রয়েছে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এমসি/ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।