ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢামেকে মৃত্যুশয্যায় ছেলের পাশে বাবার আর্তনাদ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
ঢামেকে মৃত্যুশয্যায় ছেলের পাশে বাবার আর্তনাদ! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘আমার বাজানের জবান নাইগো, তিনদিন পর আমার দিকে চোখ তুলে চাইছে, বাজানের আমার হাত ধইরা কী জানি কইতে চায়। বাবারা তোমরা একটু আইসা আমার বাজানডারে দেহো’।

রোববার (৩০ অক্টোবর) বাংলানিউজের প্রতিবেদককে ডাক্তার ভেবে এভাবেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১শ’ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সন্তানের পাশে বসে বৃদ্ধ বাবা আলী আকবর কথাগুলো বলছিলেন।

বেডের পাশেই ছিলেন তার মেয়ে পপি। তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমাগো বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কোপাল তুলি গ্রামে। রাজধানীর জুরাইনে বাবা একটি ট্রাকের গ্যারেজে দারোয়ানের চাকরি করেন। আহত ইয়াসিন তার ভাই। তিনি যাত্রাবাহী একটি বাসের হেলপারের কাজ করতেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাসে ডিউটি করার সময় মুন্সীগঞ্জ ব্রিজের কাছে নিজ বাসের সঙ্গেই ধাক্কায় আহত হন ইয়াসিন। তারপর থেকে অচেতন হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন তিনি। ইয়াসিন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে জুরাইন এলাকায় থাকে বলেও জানান তার বোন পপি।

আহত ইয়াসিনের বাবা আলী আকবর বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আমার সন্তান আমার তাজ, আমার সন্তান আমার শক্তি। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আমার সন্তান এভাবে পড়ে আছে, মুখে তার কোনো কথা নেই। শুধু মাঝে মধ্যে চোখ তুইলা তাকায়, আমি বাবা হইয়া এমন দৃশ্য সইতে পারি না। ও বাবারা আমার সন্তান কি বালা অইবো। তুমি কি বাবা ডাক্তার আমার ছাওয়ালকে একটু দেহো। চার পাঁচ দিন ধরে কথা কয় না আমার বাজান। মাঝে মাঝে ফ্যাল ফ্যাল কইরা তাকায় আমার হাত শক্ত কইরা ধইরা রাখে।

ঢামেকের ১শ’ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, পাঁচদিন ধরে অচেতন অবস্থায় আছেন ইয়াসিন। তার মাথায় আঘাত আছে। অবস্থা গুরুতর, অপ‍ারেশন লাগবে কি-না এখন বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬

এজেডএস/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।