ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গম, ভুট্টা ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
গম, ভুট্টা ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের অনুমোদন

ঢাকা: উন্নতমানের গম, ভুট্টা ও পাটের জাত উদ্ভাবন এবং এ সংক্রান্ত গবেষণায় উৎসাহ দিতে ‘বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদ দিয়েছেন মন্ত্রিসভা।  

একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার সম্মতি মিলেছে ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ এর আইনের খসড়ারও।


 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইন দু’টির অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।  
 
গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন:

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনের বলে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। মহাপরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইনস্টিটিউটের প্রধান হবেন তিনিই।
 
অর্থ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউটের দু’জন বিজ্ঞানী, সরকার মনোনীত কৃষি গবেষণায় অভিজ্ঞ দু’জন বিজ্ঞানী, তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও বীজ বর্ধন খামারের অফিস প্রধান, কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত একজন কৃষক ও এনজিও প্রতিনিধি মিলে কমিটি গঠন করা হবে।
 
এই কমিটি তিন বছরের জন্য কাজ করবে এবং বোর্ড প্রতিবছর তিনবার বৈঠকে বসবে। অর্ধেক সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
ইনস্টিটিউটের কাজ প্রসঙ্গে বলা হয়, গম ও ভুট্টার উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ, উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা প্রদান, সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কর্মশালার আয়োজন এবং প্রকল্প গ্রহণ করা এ ইনস্টিটিউটের কাজ।  
 
পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন:
আগের ‘জুট রিসার্ট ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর সংশোধন ও বাংলায় অনুবাদ করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইন এবং পুরনো আইনের মধ্যে তেমন বড় কোনো পার্থক্য নেই। আইনে একটি ইনস্টিটিউট এবং বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। ইনস্টিটিউটের পরিচালকরাই বোর্ডের সদস্য হবেন।
 
অর্থ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, টেক্সটাইল করপোরেশেন, বিজেএমসির প্রতিনিধি, পাট গবেষণা সংক্রান্ত দু’জন বিজ্ঞানী, কৃষি মন্ত্রণালয় মনোনীত কৃষি কাজে নিয়োজিত একজন কৃষক ও অন্যজন এনজিও প্রতিনিধি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মনোনীত বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পরিচালক, পাট অধিদফতরের পরিচালক, একজন পাট বিজ্ঞানী এবং সরকার মনোনীত ব্যবসা ও শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হবেন।
 
ইনস্টিটিউটের মৌলিক কাজগুলো হলো: পাট ও সমশ্রেণীর আঁশ ফসলের কৃষি ও কারিগরি গবেষণা, নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও উন্নয়ন, উন্নতমানের পাট বীজ উৎপাদন, পরীক্ষণ, সরবরাহ, পরিচালন এবং সীমিত আকারে বীজ উৎপাদন ও সংগ্রহ, পাট ও সমশ্রেণির আঁশ ফসলের উপর গবেষণার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন, পাটের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত পাটের শ্রেণী প্রদর্শন ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ, পাট চাষে ইনস্টিটিউট কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ ইত্যাদি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।