ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শীতের অপেক্ষায়...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৬
শীতের অপেক্ষায়... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: কোরবানির ঈদের পর থেকেই কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা শীতের অপেক্ষায় রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের টার্গেট এখন শীতকালীন পোশাক বিক্রি করা।

তাই ব্যবসায়ীরা এখন অলস সময় পার করছেন।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জ বায়তুন মামুর জামে মসজিদ মার্কেটের তানভীর প্যান্ট ফেয়ারের ম্যানেজার গোলাম কবীর বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের আওতায় উপজেলার পূর্ব আগানগর ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন হাজার গার্মেন্টস ও পাঁচ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দোকান থেকে তৈরি পোশাক পাইকারি দামে ক্রয় করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসেন।

আজিজ গার্মেন্টেসের মালিক মো. আজিজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মার্কেটের প্রায় অধিকাংশ দোকানে প্রতিদিন এক থেকে সোয়া লাখ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা শূন্যের কোঠায়। এখন প্রতিদিন মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হচ্ছে।

ফলে, অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ব্যাংক লোন পরিশোধ ও দোকানের শ্রমিকদের বেতনের টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। যে কারণে মার্কেটের  দোকানগুলো আস্তে আস্তে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

মার্কেটের পুরাতন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দুই/তিন বছর ধরে মার্কেটের পাইকারি বেচা-কেনা কিছুটা কম। তবে, যেকোনো উৎসবের আগে মার্কেটের প্রতিটি দোকানেই প্রচুর বেচা-কেনা হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, সব বয়সের মানুষের বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক বিক্রি হয় আজিজ মার্কেটের দোকানগুলোতে। বিভিন্ন উৎসবে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গার চাহিদা থাকলেও এখন বেশিরভাগ দোকানেই সাজানো হয়েছে শীতবস্ত্র। ২৯০ টাকা থেকে শুরু করে পনেরশ’ টাকা মূল্যের পাইকারি পোশাক ও শীতবস্ত্রের বেশি চাহিদা রয়েছে বলেও জানান একাধিক গার্মেন্ট ব্যবসায়ী।

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ আ. আজিজ শেখ বাংলানিউজকে জানান, সমিতির অধীনে দুই হাজার ৭শ’ গার্মেন্টে ও পাঁচ হাজার দোকান মালিক রয়েছে।

এছাড়াও এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে আরও কয়েক হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এই গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে দুই লক্ষাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকা। মার্কেটের বেচা-কেনার ওপরে নির্ভর করেই চলে তাদের সংসার।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে মার্কেটের বেচা-কেনা একেবারেই খারাপ যাচ্ছে। তবে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু হলে মার্কেটের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে।

** ছাদে বাগান ও কবুতর পালন করে লাভবান কেরানীগঞ্জের হালিম

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এজি/পিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।