ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জৌলুস ছড়াবে কেরানীগঞ্জের পোশাক পল্লী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
জৌলুস ছড়াবে কেরানীগঞ্জের পোশাক পল্লী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্রজ একটি দেশ হিসেবে বর্হিবিশ্বে সু-পরিচিতি লাভ করেছে। যার খ্যাতি ক্রমান্বয়ে ছড়িয়েই পড়ছে দেশ হতে দেশান্তরে।

এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক পল্লী হিসেবে কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগড়ে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম তৈরি পোশাক শিল্প। দেশি-বিদেশি পাইকারদের চাহিদা মতো পোশাক সরবরাহ করতে এখানকার কারখানাগুলো প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চরকালিগঞ্জ, খেজুরবাগ, পারগেন্ডারিয়া, কালিগঞ্জ, পূর্ব আগানগর, আগানগর, নাগরমহল ও ইস্পাহানি এলাকা জুড়ে এ পোশাক পল্লীর অবস্থান। ভৌগোলিক কারণে এ পোশাক পল্লীতে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ।

এ পল্লীতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা হয় এখানকার কারখানাগুলোতে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ক্রেতারা এ পোশাক পল্লীতে এসে তাদের পছন্দের পোশাকের অর্ডার দিচ্ছেন।

কারখানা মালিক মো. মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পুরো কেরানীগঞ্জ ঘিরেই পোশাক তৈরির কারখানা ও শোরুম বিদ্যমান রয়েছে। দেশে তৈরি পোশাকের প্রায় ৭০ শতভাগ চাহিদা পূরন করে চলেছে এ বাজারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবীসহ শীতের পোশাক বেশি বাজারজাত করা হয় আম‍াদের ওখান থেকে।

তবে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালে এখানকার তৈরি পোশাক বিক্রি বেশি হয় বলে বাংলানিউজকে জানান কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্জ আ. আজিজ শেখ। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক বিক্ষোভ বা অন্যান্য আন্দোলন হলেও এখানে এর কোনো প্রভাবে পড়েনি। স্বল্প সুদে ব্যংক লোন সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে কেরানীগঞ্জের পোশাক পল্লী সারা বিশ্বে জৌল‍ুস ছড়াবে।

তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জে প্রায় তিন হাজারের মতো পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। আর বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ও শোরুমের সংখ্যা হবে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক। প্রায় ২ লাখ শ্রমিক এ পোশাক পল্লীকে কাজ করেন।

সরেজমিনে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, শীত বস্ত্র ও অন্যান্য পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা এখন আর আগের মতো আগাম বস্ত্র না নেওয়ায় ব্যবসায়ীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলেও জানা যায়।

শিশু ও তরুণীদের পোশাক তৈরি হচ্ছে এমন ফ্যাশন হাউজের ম্যানেজার মো.  হাবিব জানান, ‘তারা এবার ভারত, পাকিস্তানের নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করছেন। তারা ভারতের আকর্ষণীয় সাহারা, মাস্তানি পোশাক হুবহু তৈরি করছেন।   ভারতের ওইসব পোশাকের চেয়ে তাদের তৈরি পোশাকের মান আরো অনেক ভালো বলে দাবি করছেন।

এখানকার পাইকারি ক্রেতাদের  সঙ্গে আলাপকালে বাংলানিউজকে বলেন, এখানকার পণ্য দামে কম এবং কাপড়ের গুণগতমান বেশ ভালো হওয়ায় সারা বিশ্ব থেকে ব্যবসায়ীরা এ পোশাক পল্লীতে আসেন।

বাংলাদেশ সময়:০২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।