ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কলাচাষে ভাগ্য বদল মানিকগঞ্জের হাজার চাষির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
কলাচাষে ভাগ্য বদল মানিকগঞ্জের হাজার চাষির ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মানিকগঞ্জ: ‘কলা রুয়ে না কেটো পাত; তাতে‍ই কাপড়, তাতেই ভাত’। বিখ্যাত এ খনার বচন সর্বাংশে সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার কলা চাষিদের ক্ষেত্রে।

 

কলাচাষে অল্প পুঁজি ও শ্রম প্রয়োজন হলেও অন্যান্য যেকোনো ফসলের তুলনায় অধিক আয়ের সুযোগ রয়েছে।

 

সাম্প্রতিক সময়ে কলাচাষের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা লাভ করেছেন মানিকগঞ্জের কয়েক হাজার কৃষক। ফলে সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত মানিকগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে এখন সবজির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে কলার চাষাবাদ হচ্ছে।

সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের জামালপুর এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে হান্নান মিয়া। চলতি মৌসুমে ১৯ বিঘা জমিতে তিনি কলা চাষ করেছেন।

প্রতিবিঘা জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক বাবদ তার খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবার এখন পর্যন্ত তিনি ওই জমি থেকে বিঘাপ্রতি কলা বিক্রি করে পেয়েছেন প্রায় ৩ গুণ, অর্থাৎ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের আলেক মিয়া জানান, এবার প্রায় ২ বিঘা জমিতে তিনি কলাচাষ করেছেন। খেত থেকেই কলা পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে মানিকগঞ্জ, সাভার ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

২ বিঘা জমিতে তার প্রায় অর্ধলাখ টাকা খরচ হলেও কলা বিক্রি করে অন্তত দেড় লাখ টাকা পাবেন বলে তার আশা।

একই এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, অন্যান্য ফসলের মতো কলাচাষে অধিক মূলধন ও অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। তবে কলাচাষের জন্য চারা রোপণের পর থেকে কমপক্ষে ১২ মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া একটু উঁচু জমিতে কলার চাষাবাদ করলে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না।

কলাচাষ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গুরুদাস সরকার বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে দেশীয় সবরি, সাগর ও আনাজ কলার চাষ করেছেন কয়েক হাজার কৃষক।

তিনি জানান, অল্প খরচে অধিক আয়ের কারণেই দিন দিন কলাচাষে জেলার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।