ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তানে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক ‍উপস্থাপনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
পাকিস্তানে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক ‍উপস্থাপনা

ঢাকা: বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে লাহোরে উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করেছে ইসলামাবাদে নিযুক্ত হাইকমিশন। লাহোরের অভিজাত ফালেত্তি হোটেলে গত ২৮ অক্টোবর ‘প্রেজেন্টেশন অন বাংলাদেশ: দ্য ডেভেলমেন্টাল এক্সপেরিয়েন্স’ শীর্ষক এ পারস্পরিক অংশগ্রহণমূলক উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়।

বুধবার (২ নভেম্বর) পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, শিল্পখাত, এনজিও, শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র বলে পরিচিত লাহোরে এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার নাগরিক সমাজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ও এর অভিজ্ঞতা জানানো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে কিছু প্রচার ও প্রকাশনামূলক পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। মূল পর্ব শুরু হওয়ার আগে প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের ওপর নির্মিত কিছু ভিডিওচিত্র।

মূল পর্বে পাওয়ার পয়েন্টে চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি ‘প্রেজেন্টেশন অন বাংলাদেশ: দ্য ডেভেলপমেন্টাল এক্সপেরিয়েন্স’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন হাইকমিশনার তারিক আহসান। ৩০ মিনিটের এ উপস্থাপনায় তিনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরেন।

উপস্থাপনায় উঠে আসে দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, স্যানিটেশন, প্রাথমিক শিক্ষা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, রফতানি আয়, প্রবাসী আয়, রিজার্ভ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র বৃদ্ধি, মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানাক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার বিষয়।

এ উপস্থাপনার মূল বার্তা ছিল- গণমুখী উন্নয়ন মডেল এবং বিশ্বের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও শান্তির নীতি অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার রূপকল্প ২০২১ (মধ্য আয়ের দেশ) ও মেগা রূপকল্প ২০৪১ (উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ) বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এ উপস্থাপনার পর চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এসময় বাণিজ্য, জ্বালানি, ভিসা, আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ, সার্কের ভবিষ্যৎ, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ কিছু রাজনৈতিক বিষয়েও প্রশ্ন করেন অংশগ্রহণকারীরা। এসব প্রশ্নের উত্তর দেন হাইকমিশনার। এতে স্থানীয় শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সাবেক কূটনীতিক, রাজনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শামসাদ আহমদ, বাংলাদেশে পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার ইকবাল আহমদ খান, বুলগেরিয়ায় পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত জামশেদ ইফতিখার, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির সদস্য ইরাম হাসান বাজওয়া, পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুজাহিদ কামরান, ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেসের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তাকলাত নাসির পাশা, পাঞ্জাবের সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রানা ইজাজ আহমেদ খান, সোনেরি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ফিরাস্তা প্রমুখ।

লাহোরে বাংলাদেশের কনস‍াল জেনারেল কাজী হুমায়ুন ফরিদ ও ইসলামাবাদ হাইকমিশনের কাউন্সেলর মো. নাজমুল হুদাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় নৈশভোজের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।