ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুঃখ নয়, বাবাকে নিয়ে গর্ব করেন নাসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
দুঃখ নয়, বাবাকে নিয়ে গর্ব করেন নাসিম

ঢাকা: দুঃখ নয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর জন্য গর্ববোধ করলেন তারই সন্তান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবসে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তিনি এ গর্ববোধের কথা প্রকাশ করেন।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে সেচ্ছাসেবক সংগঠন জার্নি। এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার যুদ্ধকালীন সময়ের বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।

নাসিম বলেন, ‘ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে হয়ে গর্ববোধ করি। গর্বভরে তিনি বললেন, ‘আমার বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক।   দুঃখ হয় না বরং গর্ববোধ হয়, কারণ আমি ওই বেঈমান মোস্তাকের ছেলে নই। আমি এক আদর্শ পিতার সন্তান যিনি তার নীতির সঙ্গে বেঈমানী করেননি’।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার সময় তার মুখখানি শেষ বারের মতো দেখতে পারিনি আমি। সেসময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম’।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ৭৫ সালের কয়েক বছর পর আমিও বন্দি হয়ে এসেছিলাম এই কারাগারে। আমাকে রাখা হয়েছিল বাবার সেলেই।

সে সময়ের এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের  কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কতটা ভয়ংকর ছিলো সেই বেঈমানরা। কারাগারের মধ্যেও মানুষকে হত্যা করেছে। আজকের প্রজন্ম একথা জানলে বিশ্বাসই করতে চাইবে না’।

ক্ষোভের সুরে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ-কাল অনেকের মুখেই শুনি আইনের শাসনের কথা। ছোট কোন ঘটনাতেও হুমরি খেয়ে পড়ে আইন ব্যবস্থার সমালোচনা করতে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, কোথায় ছিল সেই আইন, কোথায় ছিল মানবতা যেদিন এতোটা নির্মমভাবে রাতের অন্ধকারে বাবাসহ চার নেতাকে খুন করা হয়েছিলো। যেদিন বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল?’

তিনি বলেন, ‘সেসময় মানুষের কাছে গিয়েও আমরা বিচার পাইনি। কালো আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিচার। আমি নিজে সাক্ষী দিয়েছিলাম খুনিদের বিরুদ্ধে। স্পষ্ট মনে আছে আদালতের বারান্দায় গিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ চিৎকার করে বলছিলেন ‘বিচার বন্ধ করে দিন’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, শত্রুদের সঙ্গে আপোস হয় না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতা হত্যাকারীদের বংশধর এখনো রয়ে গেছে এ দেশে। মোস্তাক ও জিয়াই ছিলো এসব খুনের মূল হোতা। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে সে চেষ্টা এখনো অব্যাহত রেখেছেন খালেদা।

সভায় বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিস সিদ্দিক,  কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন প্রমুখ।

**বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
জেডএফ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।