ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোনায়েম খানের সেই বা‌ড়ি ভাঙার প্রস্তু‌তি চলছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
মোনায়েম খানের সেই বা‌ড়ি ভাঙার প্রস্তু‌তি চলছে ছবি- জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: অবশেষে ভাঙার প্রন্তু‌তি চলছে বনানী কবরস্থান সড়কে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা ‘বাগ-ই-মোনায়েম’। প্রায় ৫ বিঘা জ‌মি দখল করে বা‌ড়ি‌টি গড়েন কুচক্রী মোনায়েম খান।

 

‌সেই বা‌ড়িতেই মোনায়েম খানের দুই কন্যা গড়ে তুলেছেন অন্বেষা নামে একটি স্কুলও। তাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি দুর্নীতিবাজ চক্র।  

মোনায়েম খান হচ্ছেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হন ১৯৭১ সালে। তার বরাদ্দ নেওয়া জমির পরিমাণ ১০ কাঠা। ১১০/এ নম্বরে ভুয়া হোল্ডিং বানিয়ে এ জমি দখল করা হয়।

বা‌ড়ি‌টি ভেঙে সড়কের জন্য উন্মুক্ত করবে ঢাকা উত্তর সি‌টি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ লক্ষ্যে ডিএন‌সি‌সিতে মেয়র আ‌নিসুল হক এর সভাপ‌তিত্বে জরুরি সভা চলছে। জানা‌ গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে ডিএন‌সি‌সির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে‌ডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম বনানী কবরস্থানের সামনে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রি‌ফিং করবেন। এরপর শুরু হবে আলো‌চিত ‘বাগ-ই-মোনায়েম’ বা‌ড়িটি  উচ্ছেদ কার্যক্রম।
 
তৎকালীন সময়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর এক অসাধু চক্রের সহযোগিতায় কুচক্রি মোনায়েম খান জবরদখল করে গড়ে তোলেন রাজপ্রাসাদের মতো এ বাড়িটি। জানা যায়, বাড়িটি একসময় এক‌টি দূতাবাসের জন্য ভাড়া দেওয়া ছিলো। বর্তমানে বা‌ড়িতে কেউ অবস্থান করেন না। বা‌ড়ির ভেতরের উঠান এবং জানালার গ্রিলে স্যাঁতলা জমেছে।  

বনানী কবরস্থানের দিকে যেতে বীর বিক্রম মইনুল হোসেন চৌধুরী সড়কে অর্থাৎ বনানী ২৯ নম্বর সড়ক দিয়ে যেতেই চারদিকে ৭ ফুট উঁচু প্রাচীরে ঘেরা বাড়িটি চোখে পড়বে সবার। এই  বা‌ড়ির সীমানা শেষে বনানী কবরস্থান শুরু।
 
এয়ারপোর্ট রোড থেকে বনানী কবরস্থানের দিকে যেতে প্রথমেই চোখে পড়বে বাগ-ই-মোনায়েম। মোনায়েম খানের বাড়ির পূর্ব পাশের গেটে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল রয়েছে। যার নাম অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বাড়ির সঙ্গেই গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ।

গত ২৬ অক্টোবর সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বাড়ি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। অবৈধ দখলমুক্ত করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
 
বাড়িটির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তৎকালীন সময়ে আইয়ুব খানের এ হাতিয়ার মোনায়েম খান বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় জায়গা নিজের নামে লিখে নেন।  
  
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী মোনায়েম খান ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার বনানীর এ বাড়িতে মুক্তিবাহিনীর গুলিতে আহত হন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
**৫ বিঘা জমি দখল করে মোনায়েম খানের বাড়ি

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩,২০১৬
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।