নাটোর: নাটোরে হানিফ পরিবহনের একটি নৈশকোচে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কার অন্তত ৭/৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বাসের চালক সদর উপজেলার পতেঙ্গাপাড়া এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে কাবিল হোসেন (৪৫), সুপারভাইজার বগুড়ার শরীফ হোসেন (২৮) ও হেলপার চট্টগ্রাম এলাকার মানিক হোসেন (৩৫)।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সার্জেন্ট হামিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হানিফ এন্টারপ্রাইজের এসি ভলভো নৈশকোচটি ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
রাত ৩টা ১২মিনিটে সিরাজগঞ্জের হানিফ হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতি করে। সেখান থেকে বাস ছাড়ার সময় কয়েকজন যাত্রী ওঠেন। বাসটি হাটিকুমরুল এলাকার কাছিকাটা টোল প্লাজায় এলে যাত্রী বেশে থাকা সাত/আটজন অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করেন।
পরে যাত্রীদের মালামাল লুট করে চালক ও হেলপারকে জিম্মি করে আহম্মদপুর এলাকার আরপি ফিলিং স্টেশনের কাছে এসে নেমে যায় ডাকাতরা।
পরে ওই কোচের যাত্রীরা চিৎকার চেচামেচি করে চালককে বাস থামাতে বললেও তিনি গাড়িটি দ্রুত ছেড়ে দেন। বাসটি দত্তপাড়া এলাকায় এলে হাইওয়ে পুলিশের টহল পিকআপ দেখতে পেয়ে যাত্রীরা চিৎকার করতে শুরু করে। পরে বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে তারা পুলিশে খবর দেন। এরপর নাটোর থানা পুলিশ এসে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করে বাসসহ থানায় নিয়ে যায়।
কোচের যাত্রী কাজী হুমায়ুন কবির, জুলহাস, আমিনুর রহমান ও খালেদা বেগম অভিযোগ করেন, চালক ও সুপারভাইজারকে হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট এলাকা থেকে যাত্রী ওঠাতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা যাত্রী ওঠায়। ডাকাতি শেষে তারা ডাকাতদের নেমে যেতেও সহায়তা করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নজরুল ইসলাম জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় ওই বাসের যাত্রী কাজী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
আরবি/এসআর
