ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক সৈকত রুশদী’র জন্মদিন শনিবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
সাংবাদিক সৈকত রুশদী’র জন্মদিন শনিবার

কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট রাজনীতিক, বেতার ও টেলিভিশনের ভাষ্যকার, সাংবাদিক, লেখক ও কবি সৈকত রুশদীর ৫৮তম জন্মদিন শনিবার (৫ নভেম্বর)।

১৯৮০’র দশকে লন্ডনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস-এর সদর দফতরে ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন সৈকত রুশদী।

এরপর ৯০’র দশকে তিনি বাংলাদেশে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের দূতাবাসে ঊর্ধ্বতন গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন।

এক যুগের বেশি সময় টরন্টোতে বসবাসকারী এই সাংবাদিক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম বিশ্লেষক (media intelligence) প্রতিষ্ঠান সিশন-এর (Cision) কানাডার সদর দফতরে মূল্যায়ন সম্পাদক ও বিশ্লেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।


বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তবর্তী শহর মেহেরপুরে ১৯৫৯
সালের ৫ নভেম্বর জন্ম হয় সৈকত রুশদীর। বাবা আ. ক. ম. মনিরুল হক, মা প্রয়াত রোকেয়া বেগম।

তার লেখাপড়ার শুরু মেহেরপুর বি.এম. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার বিজ্ঞান কলেজ (তৎকালীন ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ), আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক (বি.এস.এস.) ও স্নাতকোত্তর (এম.এস.এস.) ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্রাবস্থায় সাপ্তাহিক কিশোর বাংলাসহ একাধিক পত্রিকায় তার ছড়া ও কবিতা প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৭৮ সালে সে সময়ের সর্বাধিক প্রচারিত সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ক্রীড়া বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতায় পদার্পণ। পরবর্তীতে তিনি সাপ্তাহিক

‘মতামত’ ও ‘দৈনিক দেশ’ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে ভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেন। লন্ডনে বিবিসি’র বাংলা বিভাগে ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করেন। দেশে ফিরে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন ‘দৈনিক খবর’ ও ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বাংলাদেশ টাইমস’এ। পাশাপাশি ভারতের সাপ্তাহিক দেশসহ একাধিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তার লেখা নিবন্ধ, গল্প ও কবিতা প্রকাশ হয়।

১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশে কানাডার দূতাবাসে তথ্য ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। এক বছর পর যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসে। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের দূতাবাসে প্রথমে ঊর্ধ্বতন গণমাধ্যম ও জন বিষয়ক কর্মকর্তা এবং পরে ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেন।

২০০৩ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় অভিবাসী হন।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিককর্মী সৈকত রুশদী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন (১৯৯১-১৯৯২ মেয়াদে)। বর্তমানে তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সমিতি’র সদস্য, পরিবেশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘হল্ট গ্রিনহাউস’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা প্রগতি গ্রেটার-এর পরিচালক হিসেবে অবদান রেখেছেন।

তিনি ১৯৮৫ সালে ব্রিটেনের বাংলা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলায় অবদান রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।