ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিরল স্থলবন্দরে ভাইরাস সনাক্তে নেই মেডিকেল ক্যাম্প

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
বিরল স্থলবন্দরে ভাইরাস সনাক্তে নেই মেডিকেল ক্যাম্প

দিনাজপুর: দেশের প্রাচীন ও রাজস্ব আয়ের অন্যতম স্থলবন্দর দিনাজপুরের বিরল। এ বন্দর দিয়ে ব্যবসা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি মাসে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন।

পাসপোর্টধারীদের জন্য দেশের সব স্থলবন্দর গুলোতে জিকাসহ অনান্য ভাইরাস সতর্কে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। কিন্তু বিরল স্থলবন্দরে নেই কোন মেডিকেল ক্যাম্প।

বিরল স্থলবন্দরে মেডিকেল ক্যাম্প না থাকায় পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না। আর যে কারণেই জিকাসহ অনান্য ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের মানুষ।

ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা দেশের প্রাচীনতম দিনাজপুর জেলায় দু’টি স্থলবন্দর রয়েছে। যার মধ্যে একটি হিলি ও অপরটি বিরল স্থলবন্দর। জেলার এ দু’টি স্থলবন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে।

বিরল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বৃটিশ শাসনামলে ১৯২৭ সালে বিহারের কাটিহার থেকে বারসই তৎকালীন বাংলার পশ্চিম দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ হয়ে রাধিকাপুর থেকে বিরল পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে চেকপোস্টের মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের পুনরায় যাতায়াত শুরু হয়। ১৯৫২ সালে কাস্টমসের মাধ্যমে শুরু হয় দু’দেশের মধ্যে পণ্য আনা নেওয়া। বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে বিরল স্থলবন্দর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও দেশ স্বাধীনের পর আবারো এ পথ দিয়ে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে।

এর মধ্যে ২০০৪ সালে ভারত অংশে রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজের রুপ দেওয়ায় পর পণ্যবাহী ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ থাকলেও বন্ধ ছিল না পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।  

বিরল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান মেডিকেল ক্যাম্প না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ পাসপোর্টধারী যাত্রী এ বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে নামেমাত্র মেডিকেল ক্যাম্পের নামে একজন স্বাস্থ্যকর্মী এসে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যান। কোন যাতায়াতকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। তবে মাসে কতজন পাসপোর্টধারী যাত্রী এ পথে যাতায়াত করে এর হিসেব আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. অমলেন্দু বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, জিকাসহ অনান্য ভাইরাস সনাক্তে হিলির পাশাপাশি বিরল স্থলবন্দরেও একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তবে তারা কেন সেখানে নেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।