ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঋত্বিক সম্মাননা পেলেন দুই বাংলার ৫ চলচ্চিত্রকার-গবেষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
ঋত্বিক সম্মাননা পেলেন দুই বাংলার ৫ চলচ্চিত্রকার-গবেষক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: ঋত্বিক সম্মাননা পদক-২০১৬ পেলেন দুই বাংলার পাঁচ চলচ্চিত্রকার ও গবেষক।

শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলনায়তনে বিজয়ীদের মধ্যে এই সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।

রাজশাহীর ‘ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি’ উপমহাদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের নামানুসারে গত কয়েক বছর থেকে এ পদক দিয়ে আসছে।

বর্তমানের এ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজটিই ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈত্রিক নিবাস। ঋত্বিক ঘটকের ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে পাঁচ দিনের চলচ্চিত্র উৎসব। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই পাঁচ চলচ্চিত্রকার ও গবেষককে সম্মাননা পদক দেওয়া হলো।

চলচ্চিত্র নির্মাণে অনন্য অবদান রাখায় এবার এ পদক পেলেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ও বাংলাদেশের মোরশেদুল ইসলাম। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে অনন্য অবদান রাখায় পদক দেওয়া হয় ভারতের ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দ্র মজুমদারকে।

মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্রে আলোকসম্পাতে অনন্য অবদান রাখায় এ পদক পেলেন রাজশাহীর আলোকশিল্পী আবু তাহের। আর চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণায় অসমান্য অবদান রাখায় এ পদক পান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নজরুল গবেষক অনুপম হায়াৎ।

তবে অনুপম হায়াৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে পদক নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল। অন্য সবাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পদক নেন।

পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রামানিক। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালক আহসান কবীর লিটন।

এর আগে ঋত্বিক ঘটক স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

পদক পেয়ে অনুভূতি জানাতে গিয়ে চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বলেন, ঋত্বিক ঘটক সারা বিশ্বের সচেতন দর্শকের ভেতর ছড়িয়ে আছেন। বাইরের দেশে গেলে সেদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা এখনও আমার কাছে ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রের হালহকিকত খোঁজ নেন। তার সৃষ্টি আজও মানুষকে বিস্মিত করে। তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন তার চলচ্চিত্রে।

মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাইরে চলচ্চিত্র সংসদ কাজ করছে, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি চমৎকার এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ করেছে।

তাকে এই সম্মাননা দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রেমেন্দু মজুমদারের ভাষায়, ঋত্বিক ঘটক সব চলচ্চিত্র নির্মাতার কাছে আদর্শ। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই সম্মাননা জেতা ভাগ্যের ব্যাপার। বাংলাদেশে এসে, যে দেশে আমাদের শেকড় রয়েছে সেখানে এমন সম্মান পাওয়া আরও সৌভাগ্যের। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের দেওয়া এ সম্মান ধরে রাখার চেষ্টা করবো।

এবারের উৎসবে শনিবার (০৫ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ে লালন মঞ্চ ও বড়কুঠি মঞ্চে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় নির্মিত ৩০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।