ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিগগিরই শ্রমিক নেওয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
শিগগিরই শ্রমিক নেওয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার

খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক, প্লান্টেশন ও ম্যানুফেকচার খাতে কর্মী নেওয়া শুরু করবে  মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এ আশ্বাস দেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম।

ঢাকা: খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক, প্লান্টেশন ও ম্যানুফেকচার খাতে কর্মী নেওয়া শুরু করবে  মালয়েশিয়া।  

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এ আশ্বাস দেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম।

রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সার্বিক আলোচনা হয়।   প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করারও আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত ব্যয়ে কর্মী গমনাগমনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে দু’দেশের সরকার। মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং খুব শিগগিরই তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ শ্রমিক, প্লান্টেশন ও ম্যানুফেকচার খাতে কর্মী নেবে বলেও জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী।

বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে দালালচক্র নির্মূল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার। দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে কর্মী পাঠানোর কৌশল নিয়ে উভয়পক্ষ একাধিকবার বৈঠক করেছে’।

নুরুল ইসলাম বিএসসি আরও বলেন, জনশক্তি রফতানিতে গুটিকয়েক রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দেওয়া হবে না। আগের ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্য থেকে অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করা হবে। এতে করে অভিবাসন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানো যাবে।

বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন এবং দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্মারক বিনিময় হয়।
মালয়েশিয়ার ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নুর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তায়েব, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহনিয়ার বিন দারুসমান, ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক হাজি মুস্তাফার বিন হাজি আলী, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক জেফরি বিন জোয়াকিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব জামিরি বিন মাত জিন, অভিবাসন দফতরের পরিচালক খায়রুল খায়ের বিন ইয়াহিয়া, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সহকারী সচিব শাহাবুদ্দিন বিন আবু বকর ও মানবসম্পদমন্ত্রীর বিশেষ কর্মকর্তা রবার্ট আনাক দাপন।

বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব শামছুন নাহার, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, যুগ্ম সচিব নারায়ণ চন্দ্র শর্মা, যুগ্ম সচিব মো. আকরাম হোসেন, যুগ্ম সচিব মো. বদরুল আরেফীন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. মোহসিন চৌধুরী, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সাইদুল ইসলাম ও বিএমইটি’র পরিচালক ড. নুরুল ইসলাম।  

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই হঠাৎ করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় মালয়েশিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।