ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয় না.গঞ্জে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয় না.গঞ্জে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জে সকলে মিলেমিশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সকলে মিলেমিশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রত্যয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


 
সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, নিজের সমালোচনা সবচেয়ে বড় সমালোচনা। আমাদের ইমাম সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে হেফাজত করার। যদি আমরা আমাদের সংখ্যালঘুদের প্রতি ভিন্ন আচরণ করি তবে যেদেশে আমরা সংখ্যালঘু ঐ দেশে আমাদের নির্যাতিত হতে হবে।
 
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের সকল ধর্মের ঐক্য পরিষদ থাকা দরকার, কিন্তু সকল ধর্মের পরিষদ থাকলেও সেখানে মুসলমানদের স্থান নেই।
 
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর চন্দ্র সাহা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ দেশের মধ্যে অন্যতম। আশা করি আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে থেকে আগামীতেও আমাদের সম্প্রীতি বজায় রাখবো।
 
জেলা খ্রিস্টান পরিষদের সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন বলেন, এখানে একটি সুন্দর প্রস্তাব এসেছে, আমাদের সকল ধর্মের মানুষ মিলে একটা কমিটি হওয়া জরুরি। আমাদের সকলের উচিত সকল ধর্মের মানুষ মিলে আমাদের একজন আরেক জনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা।
 
জেলা বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি বধংশ চন্দ্র ভদ্র বিক্ষু বলেন, আমাদের সকলের মধ্যে চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আনতে হবে। ধর্মের নজর বাদ দিয়ে আমাদের সকলকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের একতাবদ্ধ থেকে সমাজের পরিবর্তন ও দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, এডিএম মো. ছরোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হুসনে আরা বাবলি, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি শিরিন সুলতানা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান; হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপীনাথ দাস, জেলা খ্রিস্টান পরিষদের সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন, দিলিপ কুমার মণ্ডল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর চন্দ্র সাহা, জেলা বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি বধংশ চন্দ্র বিক্ষুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষসহ উপজেলা চেয়ারম্যানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।