ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হানিফের ফুড কর্নারে বার্গারে তেলাপোকা, টেস্ট করিয়ে মিষ্টির দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
হানিফের ফুড কর্নারে বার্গারে তেলাপোকা, টেস্ট করিয়ে মিষ্টির দাম ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

পরিবহন ব্যবসার চেয়ে রমরমা খাবারের ব্যবসা পেতে বসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবহন কোম্পানি হানিফ এন্টারপ্রাইজ। বড় বড় তেলাপোকা ঘুরে বেড়ানো বার্গার সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে দেদারছে। টেস্ট করানোর নামে মার্বেল সাইজের মিষ্টি খাইয়ে নেওয়া হচ্ছে দাম।

সিরাজগঞ্জ থেকে: পরিবহন ব্যবসার চেয়ে রমরমা খাবারের ব্যবসা পেতে বসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবহন কোম্পানি হানিফ এন্টারপ্রাইজ। বড় বড় তেলাপোকা ঘুরে বেড়ানো বার্গার সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে দেদারছে।

টেস্ট করানোর নামে মার্বেল সাইজের মিষ্টি খাইয়ে নেওয়া হচ্ছে দাম।

ঘটনা বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ফুড কর্নারের (অভি হাইওয়ে ভিলা)।

উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা যাওয়া-আসার সময় এখানে আধাঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি থামানো বাধ্যতামূলক। যদিও থামানোর সময় বলে দেওয়া হয় ২০ মিনিট।

হানিফের কর্মচারীরা যে যাত্রীবান্ধব নন তার প্রমাণ মেলে জয়পুরহাট থেকে দুপুরের গাড়িতে যাত্রা শুরুর আগেই। টিকিট দেওয়ার সময় ঠিক ৩টায় ছাড়বে বলে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু দেরি করতে থাকলে প্রতিবাদ জানালে বলা হয়, আমাদের সার্ভিস এমন, না গেলে এখন টিকিট ফেরত দিতে পারেন।

৩০ মিনিট দেরিতে গাড়ি ছাড়ার পর একের পর এক কাউন্টারে গাড়ি থামার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজার বলেন, কি করবো ভাই, আমাদের কিছু করার নেই। এটা মালিকপক্ষ জানে।

সন্ধ্যার পর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এসে কোম্পানির নিজস্ব ফুড ভিলেজে থামানো হয় ২০ মিনিটের কথা বলে। দই, মিষ্টি, বার্গার, ভাতসহ সব ধরনের খাবারের বিশাল পসরা সাজিয়ে বসেছে সেখানে। ছোট শুকনো এক ধরনের মিষ্টি কেমন হবে জানতে চাইলে দোকানি বলেন, খেয়ে দেখেন। খেতে খারাপ লাগায় না নিতে চাইলে বলেন, তাহলে ৫ টাকা দেন। কোম্পানিকে জবাব দিতে হবে। অবস্থা এমন দেখে পাশের ভদ্রলোক কিছুক্ষণ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থেকে না টেস্ট করেই এক কেজি মিষ্টি কিনলেন।

এরপর ফাস্টফুড কর্নারে গিয়ে দেখা গেলো বেশ ভিড়। সন্ধ্যার নাস্তা সারতে চলতি পথে দেদারছে খাচ্ছেন বার্গার, কাটলেট, স্যান্ডউইচ। কাচের বক্সে সাজানো থাকলেও একপাশ খোলা। সেখান দিয়ে ঢুকে বড় একটি তেলাপোকা চাটছে বার্গার। কিছু না বলে ঝটপট ছবি তুললে ক্ষেপে ওঠেন বিক্রেতা। এখানে নাকি ছবি তোলা নিষেধ। কোথায় লেখা আছে জানতে চাইলে বলেন মালিক হানিফ সাহেবের নিষেধ। মালিকের নম্বর চাইলে দেওয়া যাবে না বলে মোবাইল ছিনিয়ে নিতে আসেন। ততক্ষণে লোকজন জড়ো হয়।

কিন্তু তেলাপোকার কথা বললে ছবি ডিলিট করার চাপ বাড়বে বলে এড়ানো হয়। তবু এক পর্যায়ে ডিলিট করে দেখাতে হয়। ততক্ষণে মেইল করে ফেলায় রক্ষে।

এভাবে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে হানিফের ফুড ভিলেজে। সঙ্গে চলছে যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতারণা। আর গাড়ি ২০ মিনিটের কথা বলে ৩৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে পকেট কাটা হচ্ছে যাত্রীদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।