ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
‘জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে হবে’

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

ঢাকা: জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ স্টাফ কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ‘লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কোর্স ফর সিনিয়র পুলিশ এক্সিকিউটিভ’ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ১৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন আইজিপি।

পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশি কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। অপরাধের মাত্রা ও পরিধি ক্রমাগত ব্যাপক হচ্ছে। প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ও প্রসার ঘটছে, যা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও জ্ঞানসমৃদ্ধ, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হতে হবে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা শুধু প্রশাসক নন বরং সেবক। সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করে অপরাধ দমন করতে হবে।

এর আগে সকালে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও টেররিস্ট ফাইনান্সিং কোর্সে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধান কোনো একক দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয়।

সম্প্রতি জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সাফল্য রয়েছে। যা দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের উৎসের সন্ধান জানা পুলিশের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন আইজিপি।

প্রশিক্ষণটি এক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়ক হবে। সন্ত্রাসী অর্থায়নের উৎস বের করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর এম সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভাইস রেক্টর ইব্রাহিম ফাতেমী, কলেজের অনুষদ সদস্যরা এবং প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার বেনোইট পিয়েরে লারামি বক্তব্য রাখেন।

হাইকমিশনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভপতির বক্তব্যে রেক্টর বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের অপরাধ মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি এ কোর্সটি প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।  

সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৫জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এসজেএ/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।