ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসক প্রদীপ চন্দ্র করের ‘কলম সাম্রাজ্য’

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
চিকিৎসক প্রদীপ চন্দ্র করের ‘কলম সাম্রাজ্য’ ছবি: অনিক খান- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নানা রঙ ও আঙ্গিকের প্রায় দেড় হাজার কলম রয়েছে ডা. প্রদীপ চন্দ্র করের সংগ্রহে। মূলত নেশা থেকেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য কলমের এ ‘সাম্রাজ্য’ গড়েছেন তিনি।

ময়মনসিংহ: নানা রঙ ও আঙ্গিকের প্রায় দেড় হাজার কলম রয়েছে ডা. প্রদীপ চন্দ্র করের সংগ্রহে। মূলত নেশা থেকেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য কলমের এ ‘সাম্রাজ্য’ গড়েছেন তিনি।

ডা. প্রদীপ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান (মেডিসিন) হিসেবে কর্মরত। নামি এই চিকিৎসক গত পাঁচ বছর ধরে নানা ব্র্যান্ডের পুরনো ও মূল্যবান কলম সংগ্রহ করে চলেছেন।
 
ময়মনসিংহ নগরীর জমির মুন্সী লেনে (পিয়নপাড়া) তার বাসা ‘সেবাঙ্গন’। বাসার নিচতলায় রোগী দেখার চেম্বারে একটি শো’কেসে হরেক রকমের এসব কলম পরম যত্নে সৌন্দর্যের পরশে সাজিয়ে রেখেছেন শৌখিন এ মানুষটি।

কলমপ্রেমীদের কাছে আভিজাত্যের প্রতীক ‘ফাউন্টেন পেন’ প্রদীপ করের পছন্দের তালিকাও শীর্ষে রয়েছে। তবে কলম নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন মসৃণ নিবকে।

ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনেক কলম পেয়ে সংগ্রহে রেখেছেন। আবার নিজেও কিনেছেন কলমপ্রিয় প্রদীপ কর।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রদীপ করের কলম সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশ পরিপাটি করে সাজানো গোছানো পুরো কক্ষটি। কলমের পাশাপাশি শৈল্পিক আঙ্গিকে চারপাশের সেলফে সাজানো অনেক বই।

কলম সংগ্রহের ঝোঁক সৃষ্টির বিষয়ে প্রদীপ কর বলেন, ‘আগে ব্যবস্থাপত্র লিখে কলম ফেলে দিতাম। তখন মায়া লাগতো। কলমের রিফিলও পাওয়া যেতো না। ভাবলাম, সংরক্ষণ করি। সেই পাঁচ বছর আগে থেকে শুরু। এখন কলমের কালি ফুরালেও আমার কাছে মহা মূল্যবান এসব কলম’।

তিনি জানান, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের জেল ও বলপয়েন্ট রয়েছে তার সংগ্রহে। আছে নিব, ফাউন্টেন পেন, ইয়ুথ কালি, সুলেখা কালিসহ নানা ধরনের কলমও।

প্রদীপ কর বিশ্বাস করেন, কলমের যুগ এখনো শেষ হয়নি। সর্বত্রই ডিজিটালাইজড হলেও মানুষের জীবন থেকে কলম কোনোদিনই হারিয়ে যাবে না।

‘অর্থের শক্তির চেয়ে কলম এখনো ঢের শক্তিশালী’- যোগ করেন তিনি।

প্রদীপ করের মেয়ে দেবযানী কর ফুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাবার সংগৃহীত কলমগুলো অনেক সুন্দর। কলমগুলোর প্রতি আমাদেরও মায়া বসে গেছে’।
 
প্রদীপ কর নগরীর নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুল ও আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সৌদি আরবে চাকরি করেন। এরপর দেশে ফিরে আসেন।

কলমের মতো বই পড়ার শখও রয়েছে এ চিকিৎসকের। সময় পেলেই বই পড়েন। রাজনৈতিক প্রবন্ধের দিকে তার ঝোঁক বেশি। মাঝে মাঝে লেখালেখিও করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
এমএএএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।