ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ নিয়ে নাগরিকদের সভা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
‘নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ নিয়ে নাগরিকদের সভা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত ‘নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ হুবহু পাস হলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

ঢাকা: মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত ‘নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ হুবহু পাস হলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

 

শনিবার (১৯ নভেম্বর) প্রস্তাবিত এ আইন নিয়ে রাজধানীর একটি পত্রিকা সেন্টারে রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নাগরিক সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

 

গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় ‘বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-১০১৬’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘নাগরিকত্বের ধারণা, নাগরিক অধিকার এবং প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ শীর্ষক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রামরু’র নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর সি আর আবরার।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আরও অংশ নেন এশিয়া সেন্টারের কো-ফাউন্ডার ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপ-উপাচার্য ড. জেমস গোমেজ।

রাশনা ইমাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ৫ ধারায় বংশ সূত্রে নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে। বিদেশে থাকা বাবা-মা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন, তাহলে তাদের সন্তানও বাংলাদেশি নাগরিক হবেন। তবে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে সন্তানের জন্মের দুই বছরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। কিন্তু এ দুই বছর বেঁধে দিতে হবে কেন? কারো বাবা-মা যদি না জেনে দুই বছরের মধ্যে নিবন্ধন না করেন, তাহলে তাদের সন্তান রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে’।

‘১৮ ধারায় নাগরিকদের অযোগ্যতা হিসেবে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আনুগত্য প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। এর সংজ্ঞা কি? তার ব্যাখ্যা নেই’।

সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘১২ ধারায় বলা হয়েছে- কোনো ভূখণ্ড যদি বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত হয় তাহলে ওই ভূখণ্ডে বসবাসকারীরা গেজেটের মাধ্যমে নাগরিক হবেন। প্রশ্ন হলো- যতোদিন গেজেট প্রকাশিত হবে না, ততোদিন তারা কোন দেশের নাগিরক থাকবেন? অথবা কারো নাম যদি গেজেটে বাদ পড়ে তার কি হবে?’

‘১৩ ধারায় নাগরিক অধিকারের ওপর কিছু বিধি-নিষেধও আরোপ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। যদি খসড়াটি হুবহু পাস হয়, তাহলে এ আইনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা যেতে পারে’।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৬
ইএস/ওএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।