ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টিএলসি-ডিসকভারি’তে বাংলাদেশের পর্যটন প্রচারণা

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
টিএলসি-ডিসকভারি’তে বাংলাদেশের পর্যটন প্রচারণা

দেশের পর্যটন খাতকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে আর্ন্তজাতিক তিন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশি...

ঢাকা: দেশের পর্যটন খাতকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে আর্ন্তজাতিক তিন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল টিএলসি (TLC), ডিসকভারি (Discovery) ও নিউজ এশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) সম্প্রতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে।
 
বিটিবির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পর্যটন খাত সম্পর্কে ধারণা তৈরি ও সচেতনতা বাড়াতে বিটিবি এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এ চুক্তির মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক ওই চ্যানেল তিনটিতে একটানা তিন মাস বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পট, পর্যটন খাত ও সেবা সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হবে। সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে প্রচারণা ছাড়া ট্রাভেল চ্যানেল টিএলসি বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাভেল শো’রও আয়োজন করবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ওই তিন চ্যানেলসহ দেশের চ্যানেলগুলোতে প্রচারের জন্য অন্য এক প্রকল্পের মাধ্যমে বিটিবি পর্যটন নির্ভর দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর ওপর দুই থেকে তিন মিনিটের ১৫টি প্রামাণ্য চিত্র তৈরিরও উদ্যোগ নিয়েছে।

উন্মুক্ত টেন্ডারের ভিত্তিতে দরপত্র আহ্বান করে এসব প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিবি। এ বছরের ৭ ডিসেম্বেরের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে এইসব প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ শেষ করতে চায় ট্যুরিজম বোর্ড।
 
কেবল তাই নয়, এক কোটি টাকা ব্যয়ে এসব চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ফুড সাফারি’ তে থাকছে বাংলাদেশি খাবরের বৈচিত্র্য ও রসনার রেসিপি ও বন্ধন প্রণালীর প্রচার। ২০১৭ সালের ২ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে এ অনুষ্ঠান ধারণ করে তা প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিশ্বখ্যাত তিন শেফ ডেভিড রোচো, গর্ডন রামসে ও মুভি ওমেরা।
 
একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের জন্য ‘সোসাল মিডিয়া প্রমোশন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ট্যুরিজম বোর্ড। এখাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। প্রতি মাসে দেড় লাখ করে ৬ মাসে এ টাকা ব্যয় হবে। একই সঙ্গে অনলাইন পিআর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে।

৬ মাসে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া ওয়েব সাইট মেইনটেন্স ও ওয়েব প্রমোশনে ৬ মাসে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত চলবে এ প্রকল্প।
 
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরইমধ্যে ১৫টি ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অন্যান্য কাজগুলো সম্পাদনের প্রস্তুতিও চলছে।
 
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পর্যটন ইউং) স্বপন কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পর্যটনকে পরিচিত করে তুলতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ কাজ ধারাবাহিক ভাবে করা হবে।
 
তিনি বলেন, এরই অংশ হিসেবে ১৫টি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো ডিসকভারি, টিএলসি, নিউজ এশিয়ার মতো বিদেশি চ্যানেলসহ দেশি চ্যানেলগুলোতেও সম্প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে এইসব চ্যানেলে বিশ্বখ্যাত শেফদের মাধ্যমে ‘ফুড সাফারি’র মতো অনুষ্ঠান তৈরি করে দেশের নানা প্রান্তের খাবার বৈচিত্র্য তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
আরএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।