ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে ‘মুজিব কেল্লা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে ‘মুজিব কেল্লা’ ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নতুনভাবে উপকূলীয় এলাকায় ‘মুজিব কেল্লা’ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। পাশাপাশি আরও ২২০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।

ঢাকা: নতুনভাবে উপকূলীয় এলাকায় ‘মুজিব কেল্লা’ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। পাশাপাশি আরও ২২০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইএফআরসি) উদ্যোগে বিশ্ব দুর্যোগ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বুধবার (২৩ নভেম্বর) গুলশানে একটি হোটেলে একথা জানান মায়া।

তিনি বলেন, ‘মুজিব কেল্লা’ স্থাপনে নতুনভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ১৫৩টি সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন। আরও ২২০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু উপকূলীয় এলাকায় অনেক সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছিলেন। কেবল মানুষের জন্য নয় গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে এসব আশ্রয় কেন্দ্রের নামকরণ করা হয় ‘মুজিব কেল্লা’। সারাদেশে এখন ১৯৬টি মুজিব কেল্লা রয়েছে বলে জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমিয়ে আনাই আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য। দুর্যোগ আসার আগেই যদি আমরা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে পারি তাহলেই জীবন ও সম্পদ রক্ষার লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করতে পারবো।

বঙ্গবন্ধুর গড়া প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচি (সিপিপি) তার নিজ কর্মধারায় উপকূলীয় মানুষের কাছে যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এর সুনাম-স্বীকৃতি লাভ করেছে। বর্তমানে ৫৫ হাজার সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তা বাড়িয়ে লক্ষাধিক করার চিন্তা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের আগাম সতর্কতা পাঁচ দিন আগে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, জানান মন্ত্রী। তিনি দুর্যোগকালে ও দুর্যাগ পরবর্তী সময়ে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা উল্লেখ করেন।

মায়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতাও অর্জন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ অবশ্যম্ভাবী। ‘আইএফআরসি’র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমি বাংলাদেশের এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ করছি’।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, মহাসচিব বিএমএ মোজহারুল হক, আইএফআরসি’র বাংলাদেশ অফিসের প্রধান আজমত উল্লাহ, আইএফসি’র সিনিয়র অ্যাডভাইজর শাম্মী আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।