ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ শিগগিরই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
‘পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ শিগগিরই’

পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক। ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন যাবে। এ লাইন নিমার্ণে চীন সরকারের অর্থায়নের ক্ষেত্রে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ঋণ চুক্তি হয়ে গেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

ঢাকা: পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক। ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন যাবে।

এ লাইন নিমার্ণে চীন সরকারের অর্থায়নের ক্ষেত্রে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ঋণ চুক্তি হয়ে গেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাহারতলী ওয়ার্কসপ উন্নয়ন প্রকল্পের জিডি-১ প্যাকেজের আওতায় নতুন প্লান্টস অ্যান্ড মেশিনারি সরবরাহ, স্থাপন ও চালুকরণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

মুজিবুল হক বলেন, ঋণ চুক্তি হয়ে গেলে শিগগিরই পদ্মাসেতুর রেলন সংযোগের কাজ শুরু হবে। রেলেওয়ের নেওয়া প্রকল্পগুলো কোনোটি শেষ পর্যায়ে, কোনোটি মাঝপথে আবার কোনো প্রকল্প শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে রেলওয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে পাবেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর ডুলাহাজরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নিমার্ণের টেন্ডার হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৩২০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ। খুব শিগগিরই ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইনের কাজ শুরু হবে। জাপানি অর্থায়নে যমুনার উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর সাথে একটি প্যারালাল ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। কর্ণফুলী নদীর ওপর কোরিয়ার অর্থায়নে কালুরঘাট ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ৬৮ বছর পূর্বে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সরকার গেছে কোনো সরকার এর উন্নয়ন করেনি। এ ওয়ার্কশপের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শুরু হয়েছে।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, এ ওয়ার্কশপে জাপানি অর্থায়নে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি সিফাং কোম্পানি লিমিটেড মেশিনারিজ সরবরাহ করবে। এজন্য আজ তাদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কোচ মেরামত করাসহ ওয়ার্কশপের ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. শাসসুজ্জামান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের সিআরআরসি সিফাং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট চেন জিয়ানপেং।

জাপান সরকারের ঋণ সহায়তায় ১১৬ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৪৭ টাকা চুক্তি মূল্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি সিফাং এর সাথে চুক্তি হয়। ৩০ জুন ২০১৭ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা চুক্তিতে বলা আছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, সিআরআরসি সিফাং এর বোর্ড চেয়ারম্যান জিয়া চুনসেং সহ সংশ্লিস্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।