ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কৃতি চর্চায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
সংস্কৃতি চর্চায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ছবি: জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বকে বইমেলার মাধ্যমে এ বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বকে বইমেলার মাধ্যমে এ বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭ এর তৃতীয় প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, বইমেলা প্রাণের মেলা। সাহিত্যপ্রেমী মানুষের মিলনকেন্দ্র। বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সংস্কৃতির দিক থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে বইমেলার মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এ বার্তা দিতে হবে। বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা, মানবিকতার চর্চা সমানতালে বিকশিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম বইমেলা। অনেক বড় আয়োজন। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। সেটি মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

সভায় একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার-ই-মমতাজ, বাংলা একাডেমির সচিব আনোয়ার হোসেন, মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শামসুজ্জামান খান বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বইমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরের আয়োজন বড় পরিসরে হবে। আট বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বইমেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন একটি বই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, বইমেলার প্রস্তুতি শেষের দিকে। এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠের বরাদ্দ দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস সংক্রান্ত সব কাজ শেষ পর্যায়ে।

মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।

তিনি বলেন, বইমেলায় অধিকাংশ স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশ থেকে কমিয়ে রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থী ও প্রকাশকদের জন্য সুবিধা হবে। এবারের বইমেলায় স্টল থাকবে পাঁচশ’ ৬৩টি। চত্বর থাকবে ১২টি। প্রবেশ পথ থাকবে তিনটি (টিএসসি, মূল গেট, তিন নেতার মাজার)। বাহির পথ থাকবে তিনটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবেলায় এবার স্টলগুলোতে টিনের ছাউনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রন্থমেলার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কার্যক্রম, প্রাঙ্গণ বিন্যাস ও সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসকেবি/আরআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।