ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলন চালিয়ে যাবে এফটিপিও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
আন্দোলন চালিয়ে যাবে এফটিপিও

বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ইউনিটি’র কাযর্ক্রম বন্ধ করা হলেও দাবি আদায়ে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

ঢাকা: বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ইউনিটি’র কাযর্ক্রম বন্ধ করা হলেও দাবি আদায়ে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  
 
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এফটিপিও’র আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।


 
তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়ায় ‘মিডিয়া ইউনিটি’ তাদের কাযর্ক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, এই দাবি পূরণ হওয়ায় তাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন’র (এফটিপিও) সংরক্ষিত হয়নি। তাই বাকি দাবি আদায় না হওয়া পযর্ন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।  
 
এতে করে ‘মিডিয়া ইউনিটি’র সঙ্গে এফটিপিও’র দূরত্ব বাড়ল কি-না?  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুর রশীদ বলেন, তা বলতে পারেন। কারণ, এফটিপিও’র যে পাঁচ দফা দাবি তার চারটিই টেলিভিশন মালিকদের কাছে। তাদের দাবি পূরণ হওয়ায় তারা কাযর্ক্রম বন্ধ করেছেন। এখন আমাদের দাবি পূরণ করার দায়িত্ব তাদের। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ বা বিভাজন নেই।
 
পুরনো পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে আরো সাত দফা দাবি তুলে ধরেন এফটিপিও’র আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ।  
 
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য সময়সীমা নির্ধারণ, নাটকের বাজেট যৌক্তিকহারে বৃদ্ধি, কপিরাইট প্রথা বহাল, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্ভুল, যথাযথ টি. আর. পি. ব্যবস্থা চালু, ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল চালু ও তাদের ডাউন লিংক ফি’র সঙ্গে বাংলাদেশের ডাউন লিংক ফি’র অসামঞ্জস্যতা অপসারণ এবং এফটিপিও-কে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।
 
এক প্রশ্নের জবাবে এফটিপিও’র সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত বলেন, কম দামে বিদেশি সিরিয়াল কিনে দেশি চ্যানেলে সম্প্রচার করলে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচবে না। টেলিভিশন হচ্ছে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু বিনোদিত হতে চাইলে কয়েক টাকা দিয়ে টিকিট কেটে হলে গিয়ে অ্যাডাল্ট সিনেমা দেখে আসা যায়। কিন্তু ঘরে ২ বছরের বাচ্চা থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধরাও টেলিভিশন দেখেন। সেটিকে বাঁচাতে হবে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফটিপিও’র সদস্য মাসুদ সেজান, এস এ হক আলিফ, শামীম মাজহার, সাদেক সিদ্দিকী, রোকেয়া প্রাচী, অভিনেতা হিল্লোল প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এজেড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।