ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘তিস্তা চুক্তি হবে, তবে সময় নির্ধারণ হয়নি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
‘তিস্তা চুক্তি হবে, তবে সময় নির্ধারণ হয়নি’ ছবি- জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

তিস্তা চুক্তি হবে, তবে এখনো সময় নির্ধারণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম।

ঢাকা: তিস্তা চুক্তি হবে, তবে এখনো সময় নির্ধারণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম।

বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে এগারটায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁ-এ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।


 
পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আগেই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। সুতরাং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে কবে নাগাদ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।

অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে নদী ভাঙন বেশি ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নদী ভাঙনের শিকার হন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যান। তাদের সহায়-সম্বল বলতে কিছুই থাকে না। উপায়ান্তর না পেয়ে তারা শহরে এসে মানবেতর জীবনযাপন করেন।  

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ‘দ্য রিভার স্ট্যাবিলাইজেশন অ্যান্ড প্রিলিমিনারি মাস্টার প্ল্যান’র টিম লিডার নুট ওভারহাগেম্যান জানান, ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভার ব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ প্রকল্পটি ২০১৪-১৫ সালে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় যমুনা ও পদ্মা নদীর স্থিতিশীলতা এবং দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের প্রাথমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সমীক্ষা শেষ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

যমুনা ও পদ্মার ৩৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে নির্ভরশীল ২১ লাখ ৬৩ হাজার হেক্টর এলাকায় আর্থ সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে কৌশলগত কাঠামো সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া এ সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।  

তিনি আরো বলেন, সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যমুনা ও পদ্মা নদী ৫-৭ কিলোমিটারের মধ্যে স্থিতিশীল হয়ে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর বিলুপ্ত পললভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এছাড়া সমীক্ষায় আওতাভুক্ত এলাকায় ২০৪৫ সালের মধ্যে আর্থ সামাজিক ও পরিবেশের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। যমুনা নদীতে তিনটি ও পদ্মা নদীতে ২টি রিচের মাধ্যমে মোট ৫টি রিচে ভাগ করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়নে ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যয়ের আংশিক অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আশ্বাস পাওয়া গেছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সেক্রেটারি ড. জাফর আহমেদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
ইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।