ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কাতারের শ্রম বাজারে সুবাতাসের আভাস

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
কাতারের শ্রম বাজারে সুবাতাসের আভাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে দেশটিতে। 

ঢাকা: ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে দেশটিতে।

এ অবকাঠামো নির্মাণকে কেন্দ্র করে কাতারে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকের কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

সে সব শ্রমিকের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি কর্মী নিতে চায় কাতার। শুধু নির্মাণ খাতে নয়, বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে চায় দেশটি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ সুখবরটি দিয়েছেন সেদেশের শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. ইসা সাদ আল জুফালি আল নুআইমি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে’র (জিএফএমডি) সাইড লাইন বৈঠক করেন তারা।

কাতার মন্ত্রী বাংলাদেশে কর্মীদের কাজ এবং একনিষ্ঠতার প্রশংসা করে দেশটির উন্নয়ন কাজে আরো বেশি কর্মী নিয়োগের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ অদক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিকও দেশটিতে পাঠাতে চায় বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৭০টিরও বেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কাতার থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে এসে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন মন্ত্রী ইসা বিন সাদ। বিশেষ করে বাংলাদেশ আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়েছেন মরুভূমির দেশের এ মন্ত্রী। শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

তার এ আগ্রহ কাতারে বাংলাদেশে শ্রম বাজারের জন্য সুখবর বয়ে আনবে বলে বাংলানিউজকে জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

এবারের জিএফএমডি চেয়ারম্যান হিসেবেই বাংলাদেশ এ সম্মেলনের আয়োজক।

বিশ্বের ১২০টি দেশ, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছেন।

প্রায় এক দশক আগে অভিবাসীদের উন্নয়নের প্রশ্নে জিএফএমডি সম্মেলনের উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। ২০১৫ সালে তুরস্ক বাংলাদেশের কাছে চেয়ারম্যান পদ হস্তান্তর করে।

এবারের জিএফএমডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ব সম্প্রদায় অভিবাসন ইস্যুতে একটি গ্লোবাল কমপ্যাক্ট প্রণয়নে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে বিশ্ব নেতারা এ চুক্তিটি অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ কমপ্যাক্টের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ।

মাত্র তিনমাস আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেন্টস শীর্ষক বৈঠকে নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন ফর রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেন্টস গ্রহণ করেছেন বিশ্ব নেতারা।

এবারের সম্মেলনে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, সুদান, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরোক্কো, মালিসহ বিশ্বের ২০টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নিচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরও জিএফএমডি উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন। এ ছাড়া এসেছেন প্রায় অর্ধশত দেশের সচিবরা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অংশ নিচ্ছেন এতে।

এবারের সম্মেলনে অভিবাসন ও উন্নয়নের অর্থনীতি, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও সুশাসন এই তিনটিকে মূল ধরে মোট ছয়টি বিষয়ের উপর আলোচনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
জেপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।