ঢাকা: টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর রামপুরার মূল সড়কের বেশ কিছু স্থানে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসবের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়; রয়েছে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা ওয়াপদা রোডের প্রবেশমুখের সামনের মূল সড়কে খানাখন্দে মেরামত করছে উত্তর সিটি করপোরেশনের লোকজন। এ সড়ক দিয়ে দৈনিক হাজারো ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে।
রামপুরা বাজার সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ সড়কেও কাজ করছে ডিএনসিসির লোকজন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরা জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট বদরুল আলমসহ অন্যান্য সদস্য এবং ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা।
সড়কে প্রাথমিক মেরামতের কাজ তদারক করছিলেন ডিএনসিসি থেকে আসা একজন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়কের মাঝে গর্তগুলো ভরাট করে দিচ্ছেন তারা। রাতে যানবাহন চলাচল একেবারে কমে গেলে পূর্ণাঙ্গ ঢালাই দেওয়া হবে।
সার্জেন্ট বদরুল আলম বলেন, কয়েকদিন আগের ধারাবাহিকভাবে প্রবল বর্ষণের কারণে রামপুরা ওয়াপদা রোডের প্রবেশমুখের সামনে প্রধান সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু জায়গায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে প্রবল বর্ষণের কারণেও জায়গায় জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া হাজার হাজার পরিবহনের পাশাপাশি ভারী যানবাহনে চলার কারণে সেসব জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। এসব গর্তে পানি জমে যায়। রিকশা-ভ্যানসহ ছোট ছোট পরিবহন এই রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা নিজেরাই সেখানে মার্কার করে যানবাহন পার করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ফলে রাস্তার দুই পাশেই ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হতে থাকে।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ডিএনসিসি থেকে লোক এসে এই রাস্তায় প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করে।
পাঁচ-ছয়দিন আগের বৃষ্টির কারণে হওয়া গর্তগুলো গতকালকের বর্ষণের কারণে অনেক বড় হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। কিন্তু সে সময় তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন যখন তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানালাম, লোকজন এসে সাময়িকভাবে রাস্তা মেরামতের শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
এজেডএস/এমজে