ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে দক্ষ জনবল বাড়াতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে দক্ষ জনবল বাড়াতে হবে লস ২১- টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে নাগরিকের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর/ ছবি- সুমন শেখ- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশের জনবলকে আরো দক্ষ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএল’র মহাপরিচালক গাই রাইডার।

ঢাকা: বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশের জনবলকে আরো দক্ষ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএল’র মহাপরিচালক গাই রাইডার।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্কিলস ২১- টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে নাগরিকের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএলও’র বিভিন্ন উদ্যোগের অর্জিত সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

চার বছরের প্রকল্পে সাড়ে ১৭ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২ কোটি মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পের ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ৫ লাখ ডলার দেবে আইএলও।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেন, ইইউ ও আইএলও’র পক্ষে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন ও মহাপরিচালক গাই রাইডার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য রাখেন।  

গাই রাইডার বলেন, এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি। সেইসঙ্গে বেসরকারি খাতকে সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যাবে।
 
গাই রাইডারের মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কারখানায় ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রকল্পটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশাল অবদান রাখবে।  

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কার্যকর দক্ষতা ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য জাতীয় উদ্যোগকে সহায়তা ও এর মাধ্যমে প্রতিবছর শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করা ২ মিলিয়ন মানুষসহ সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।  

দক্ষ জনবলের অভাবকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মোট শিক্ষার্থীর মাত্র এক শতাংশ কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আসছে। অনেক জায়গায় চাইলেও দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই যুবক। তারাতো আজীবন যুবক থাকবে না। এজন্য দক্ষতার বিকল্প নেই।

ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন বলেন, অনেক নতুন শ্রমিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। তাদেরকে প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। এ প্রকল্প তাতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দক্ষ শ্রমশক্তি প্রয়োজন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।