ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লাল-সবুজের বর্ণিল প্রদর্শনীতে প্রিয় দেশ

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
লাল-সবুজের বর্ণিল প্রদর্শনীতে প্রিয় দেশ ছবি: আরিফ জাহান

দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দু’জন নারী। সামনে আহত হয়ে মাঠে শুয়ে রয়েছেন তিন পুরুষ। হাঁটু গেড়ে আহত একজনকে আরেকজন ধরে রেখেছেন। ঠিক তার পেছনে সাদা গেঞ্জি পরিহিত এক পুরুষ দাঁড়িয়ে। তাকে ঘিরে হেলে ধরছেন আরও বেশ কয়েকজন পুরুষ।

বগুড়া: দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দু’জন নারী। সামনে আহত হয়ে মাঠে শুয়ে রয়েছেন তিন পুরুষ।

হাঁটু গেড়ে আহত একজনকে আরেকজন ধরে রেখেছেন। ঠিক তার পেছনে সাদা গেঞ্জি পরিহিত এক পুরুষ দাঁড়িয়ে। তাকে ঘিরে হেলে ধরছেন আরও বেশ কয়েকজন পুরুষ।

ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষের ঘাড়ে লাল-সবুজের পতাকা বুকে ধারণ করে হাতে উঁচিয়ে রেখেছেন এক নারী। এভাবেই ১৯৭১ সালের দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি খণ্ড চিত্র তুলে ধরেন নারী-পুরুষের একটি দল।

মহান বিজয় দিবস উদযাপনে লাল-সবুজে সেজেছে বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম। বর্ণিল প্রদর্শনীতে (ডিসপ্লে) পুরো স্টেডিয়ামে লাল-সবুজের ঢেউ উঠছিলো। শিশু-কিশোরদের পোশাকে শোভা পাচ্ছিলো বিজয়ের রঙ। ডিসপ্লেতে ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে জাতীয় পতাকা।

কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্টেডিয়ামে আসা বিভিন্ন পেশার নানা বসয়ী মানুষের পরিধানেও ছিলো লাল-সবুজের আধিক্য। উপস্থিত দর্শক স্রোতাদের পরিধানেও বিজয়ের রঙ শোভা পাচ্ছিলো।

ছবি: আরিফ জাহানশুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উদযাপনে বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে দেখা যায় নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আশরাফ উদ্দিন সালাম গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রামে লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত দেশের সবুজ শ্যামলিমা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৯ মাসের মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বীর বাঙালি আজকের এই দিনে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম প্রিয় বাংলাদেশের।

সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। এছাড়া জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সালাম গ্রহণ শেষে শুরু হয় কুচকাওয়াজের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা ধরনের ডিসপ্লে। এতে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এছাড়া শুটিং, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।