ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যরাতের ক্রিকেট উন্মাদনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
মধ্যরাতের ক্রিকেট উন্মাদনা ছবি: জি এম মুজিবুর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সময় পেলে ঢাকা শহরের ঘুরে বেড়ানোর মতো খানিকটা খোলা জায়গারই যেখানে অভাব, সেখানে খেলার মাঠের কথা ভাবাই যায় না। ইট-পাথরের এই নগরী ক্রমেই গ্রাস করে নিচ্ছে সামান্য জায়গাটুকুও।

ঢাকা: সময় পেলে ঢাকা শহরের ঘুরে বেড়ানোর মতো খানিকটা খোলা জায়গারই যেখানে অভাব, সেখানে খেলার মাঠের কথা ভাবাই যায় না। ইট-পাথরের এই নগরী ক্রমেই গ্রাস করে নিচ্ছে সামান্য জায়গাটুকুও।

রাজধানী ঢাকায় তাই বিকেল হলে দলবেঁধে মাঠে যাওয়ার রেওয়াজ নেই শিশু-কিশোরদের। বড়দের ব্যস্ততার পাশাপাশি এখানকার কোমলমতি মনগুলোও যান্ত্রিকতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে অনেকটা বাধ্য হয়েই।
 
ক্রিকেট উন্মাদনার এ সময়ে সুযোগ পেলেই যে ব্যাট-বল হাতে নিয়ে কিশোরদল মেতে উঠে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেটা মাঠ হোক কিংবা রাজপথ। দিনের পড়ন্ত আলো না হলেও মধ্যরাতের নিয়ন আলোর নিচেই চলে ক্রিকেট উন্মাদনা।
 
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়াটার দিকে রাজধানীর মহাখালীর ওয়ারলেস এলাকায় তেমনই একদল কিশোরকে ক্রিকেটে মেতে থাকতে দেখা গেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পাশে খানিকটা খালি জায়গাতেই চলছে খেলা। কোমল পানীয়র দু’টি প্লাস্টিকের খাঁচাকে আড়াআড়িভাবে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বানানো হয়েছে উইকেট।
 
রাজধানীতে মধ্যরাতে কিশোরদের ক্রিকেট খেলাতারা জানায়, সবাই আশ-পাশের এলাকার মেসে ভাড়া থাকেন। কেউ পড়াশোনা করেন, কেউ চাকরি। দিনের বেলায় খালি জায়গার অভাবে রাতকেই বেছে নিয়েছেন খেলার সময় হিসেবে।
 
ক্রিকেট খেলতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, সাধারণত বিকেলের দিকে সময় পেলেও জায়গার অভাবে খেলাধুলাটা হয়না। রাতে এখানকার চারপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তাই রাতের বেলাতেই খানিকটা খেলাধুলা করি।
 
তিনি জানান, ১০-১২জন মিলে প্রতিদিন সাধারণত রাত ১১টার দিকে খেলা শুরু করেন তারা। দেড়টা থেকে দু’টা পর্যন্ত খেলা চলে।
 
লেখাপড়ার পাশাপাশি ওষুধের দোকানে কাজ করেন মো. জনি। তিনিও নিয়মিত খেলেন এই দলের সঙ্গে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব ক্রিকেট খেলতেন। ঢাকায় এসে সেই সুযোগটা আর পান না। রাতের বেলায় খেলার এই সুযোগটা তাই মিস করেন না।
 
রাতের বেলা খেলতে কেউ বাধা দেয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই রাতের বেলা আমরা এখানে খেলাধুলা করি। এখানকার পুলিশরাও আমাদের চেনে। এমনিতে কেউই কিছু বলেনা তাই সমস্যাও নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘন্টা, ডিম্বের ১৯, ২০১৬
পিএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।