ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবকাঠামো উন্নয়নই মূল চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
অবকাঠামো উন্নয়নই মূল চ্যালেঞ্জ

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নই বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকল্পিত উপায়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভবিষ্যত সব বাধা পেরুতে পারবে।

ঢাকা: অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নই বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকল্পিত উপায়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

তবেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভবিষ্যত সব বাধা পেরুতে পারবে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইরা অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দিনব্যাপী  ‘নিউইকোনমিক থিংকিং: বাংলাদেশ ২০৩০ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দেশি-বিদেশি গবেষক, উন্নয়নকর্মী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

সেমিনারে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, এদেশের মাটি নরম হওয়ায় বাহ্যিক অবকাঠামো বিশেষ করে সেতু, রাস্তা, মেট্রোরেল প্রভৃতি নির্মাণে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তারপরেও বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো বড় স্থাপনা সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশে টিকে আছে। কিছু সমস্যা থাকলেও এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেলসহ অবকাঠামো নির্মাণের বড় বড় প্রকল্প।

তবে জিটুজি’র আওতায় প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে গেলেও এসব প্রকল্পে টেন্ডার হয় না বলে সমালোচনা করেন তিনি।

প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, এসব চুক্তি দু’দেশের সরকারের সঙ্গে হয় বলে দর কষাকষির সুযোগ থাকে না। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ব্যয়ে চুক্তি সই করতে হয়। এতে দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনুষ্ঠানে জাইকা’র ঢাকাস্থ রিপ্রেজেন্টেটিভ আরো ইয়ামি বলেন, মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করতে যাওয়া বাংলাদেশকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক খাতে উন্নতি করার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতেও উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাইকা ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ১৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামোগত খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ।

নিক্স বিলিয়ন ডলার অপরচুনিটিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আইটি সেক্টরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির টার্গেটও নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সারাদেশে আরও ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

আইসিটি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সব বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
জেপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ