ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘গ্রন্থ বিলাস’ গণ গ্রন্থাগার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘গ্রন্থ বিলাস’ গণ গ্রন্থাগার কেরানীগঞ্জ 'গ্রন্থ বিলাস' গণ গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করছেন পাঠকরা

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রন্থ বিলাস গণ গ্রন্থাগার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। 'রক্ত মাংসে মানুষ নয় শুদ্ধ জ্ঞানে মানুষ হই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের বাক্তার চর গ্রামে এক দল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রন্থ বিলাস নামে একটি গণ গ্রন্থাগার।

কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রন্থ বিলাস গণ গ্রন্থাগার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। 'রক্ত মাংসে মানুষ নয় শুদ্ধ জ্ঞানে মানুষ হই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের বাক্তার চর গ্রামে এক দল স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রন্থ বিলাস নামে একটি গণ গ্রন্থাগার।

গ্রন্থাগারের মূল উদ্যোক্তা প্রকৌশলী রাশেদ আলম বলেন, এই গ্রন্থাগারের মাধ্যমে বিপথগামী তরুণদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে তাদের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকানো যায়।

গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বই পড়ছে। অনেকেই পড়ছেন পত্রিকা। গ্রন্থাগারের দুটি সেলফে থরে থরে সাজানো রয়েছে দেশি-বিদেশি লেখকের বিভিন্ন বই।

জানা যায়, গ্রন্থাগারে নিবন্ধিত সদস্য আছে ৯৫ জন। নিবন্ধিত সদস্যরা নিয়মিত বাসায় বই নিয়ে পড়েন। এছাড়া নিবন্ধিত সদস্য ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৩০ জনের ওপরে পাঠক গ্রন্থাগারে বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন।

পাঠাগারের সদস্য সাবেক শিক্ষিকা সালমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, এই পাঠাগারটি স্থাপন হওয়ায় আমার বেশ উপকার হইছে। এখানে অনেক দামি বই আছে, যা আমার পক্ষে কিনে পড়া সম্ভব ছিলো না।

নতুন বাক্তার চর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আইরিন, সুমাইয়া, তাবাসসুম, মিম জানায়, গ্রন্থাগারে আরও বেশি কিশোর গল্পের বই প্রয়োজন। এই গ্রন্থাগারটি হওয়ার কারণে আমরা পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বই পড়তে পারি।  

গ্রন্থাগারের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী রাশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, পাঠক চাহিদার যোগান দেওয়াই হচ্ছে গ্রন্থাগারের প্রধান কাজ। তাই পাঠকের চাহিদা মতো বই যোগাড় করতে চেষ্টা করি। গ্রন্থাগার থেকে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। যার নাম হবে 'মাসিক বিলাসী'।

গ্রন্থাগারে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। এখানে রয়েছে বাংলা ভাষা, ইতিহাস, নগর উন্নয়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, জ্যোর্তি বিজ্ঞান, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও কিশোর গল্প ইত্যাদি।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলানিউজিকে বলেন, স্বপ্নবাজ তরুণরা স্বপ্ন দেখে এই গ্রন্থাগারটি একদিন একটি রিসার্চ সেন্টার হবে। যেখানে একজন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের যোগান থাকবে এই গ্রন্থাগারে। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে সহযোগিতা করা হবে। এজন্য প্রতিটি গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
পিসি/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।