ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘আবাসন প্রকল্পে কৃত্রিম বন তৈরি করে হরিণ খরগোশ ছাড়া হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
‘আবাসন প্রকল্পে কৃত্রিম বন তৈরি করে হরিণ খরগোশ ছাড়া হবে’

একটি বৃহৎ আবাসন প্রকল্পে বহুতল ভবন ও আনুষঙ্গিক সুবিধার পাশাপাশি কৃত্রিম বন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। লেকের পাশে সেই বনে হরিণ ও খরগোশ ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী।

ঢাকা: একটি বৃহৎ আবাসন প্রকল্পে বহুতল ভবন ও আনুষঙ্গিক সুবিধার পাশাপাশি কৃত্রিম বন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। লেকের পাশে সেই বনে হরিণ ও খরগোশ ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিজমি রক্ষাকল্পে পরিকল্পিত গ্রাম-নগরায়ন ও গৃহায়ন’ শীর্ষক জাতীয়ভিত্তিক সুপারিশ উপস্থাপনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ সুপারিশমালা উপস্থাপন করে।  

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মাই মাইন্ড থিংকিং, আগামীতে চার হাজার একরের একটা রাজউকের প্রকল্প নিচ্ছি। এই প্রকল্পে আমরা কোনো প্লট রাখবো না। আমরা সব চায়নার মত হাইরাইজ বিল্ডিং করবো। ধনী, দরিদ্র সবার জন্য। মার্কেট করবো, প্লে গ্রাউন্ড করবো, স্কুল, ইউনিভার্সিটি, সব করবো; আর একটা ফরেস্ট করবো। সেই ফরেস্টে হরিণ, খরগোশ সব ছেড়ে দেব। আর অনেকগুলো লেক থাকবে। কিন্তু প্লট করবো না। ”

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে নিজের দৃঢ়তা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এটা কেউ পছন্দ করে করুক, না করলে না করুক।

প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইকিউ ভেরি সার্প। উনি রাজি হয়ে যাবে, এটা সময়ের দাবি। তবে প্রকল্পটি কোথায় নেয়া হবে, কত ব্যয় হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এখন ঝিলমিল, উত্তরা এবং পূর্বাচল মিলে এক লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। এগুলো অ্যাফোর্ডেবল প্রাইসে আমরা দিচ্ছি। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। সবাই তো ইনডিভিজুয়্যাল বাড়ি অ্যাফোর্ড করতে পারবে না।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি আবাসন কোম্পানি বিদেশি মডেলদেরও দেশে এনে প্রচারণা চালাচ্ছে- এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, প্রশাসন দেখছে এবং আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে জেগে ওঠা অনেক কোম্পানি ধরা পড়েছে এবং বাতিলও হয়েছে। যে রকম ধরেন আশিয়ান সিটি, খুব সুন্দর বিজ্ঞাপন। তিন ছেলেকে তিনটা প্লট কিনে দিলাম, আবার শরিষার তেল পাঠায় দিলাম। তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এই আশিয়ান সিটি শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে হেরে গেল। এ রকম অনেক বের হয়েছে। যেমন মধুমতি সিটি।

আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ এ সময় খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি জমি রক্ষায় পরিকল্পিত গ্রাম-নগর ও গৃহায়ন বিষয়ক জাতীয়ভিত্তিক সুপারিশ প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

দুই বছর কাজ করে এ সুপারিশগুলো করা হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন উপজেলার ১০ গ্রামে স্টাডি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এমআইএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।